তারকাবহুল কমেডি সিনেমা নিয়ে দেবের ‘হৈচৈ’! StarGolpo.com

601

কিছুদিন বাদেই মুক্তি পাবে দেবের বিগ বাজেট মুভি কবির। প্রচারণা চলছে জোরেশোরে। ইতিমধ্যে ট্রেলারে দুর্দান্ত কিছুর আভাষ দিয়ে রেখেছেন দেব। কিছুদিন আগে বায়োপিক ‘পদ্মশ্রী সুবাসিনী মিস্ত্রী’র পর অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃতীয় ছবি ‘হৈচৈ’ এর ঘোষণা দিলেন দেব। বড় চমক নিয়েই হৈচৈ যেখানে একের অধিক নায়ক নায়িকা থাকবে। কমেডি ঘরনার এ সিনেমাতে দেবের সাথে জুটি বাঁধবেন মিমি চক্রবর্তী। ভিন্ন ঘরানার পরপর তিনটি সিনেমায় কথিত প্রেমিকা রুক্মিনির সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন দেব। তাই অনেকেরই ভাবনা ছিল অন্য নায়িকার সঙ্গে বোধহয় আর জুটি বাঁধবেন না এ অভিনেতা। নতুন সিনেমায় মিমিকে নিয়ে অভিনয় করছেন। এতে অন্যান্যরা ঈর্ষান্বিত হবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মিমি চক্রবর্তী বলেন, ‘অন্যদের কথা কী করে বলব বলুন, তবে আমি সিনেমাটির অংশ হতে পেরে খুবই খুশি। অনেকদিন পর দর্শক দেব-মিমির জুটি দেখতে পাবেন। আশা করছি, সকলের ভালো লাগবে।’

‘হইচই’-এ চার নায়ক এবং পাঁচ নায়িকা। সিনেমার গল্পটা এমন – উত্তীয় (দেব) এক বড় শিল্পপতির ঘরজামাই। তার স্ত্রী (মিমি) আবার অত্যন্ত রক্ষণশীল। পুজোপাঠ নিয়ে থাকে। এটা উত্তীয়র জীবনের একটা সমস্যা। প্রোমোটার বিজনের (খরাজ মুখোপাধ্যায়) আবার দুই বউ। কিন্তু কেউ কারও অস্তিত্বের কথা জানে না। এই দুই ভূমিকায় মানসী সিংহ ও কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই স্ত্রী যদি একে অপরের কথা জেনে যায়, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগে বিজন। রিটায়ার্ড ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অনিমেষ চাকলাদার (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) অবিবাহিত। তার জীবনের ক্রাইসিস এক গুন্ডা (সুদীপ্তা চক্রবর্তী)। সে মাঝেমধ্যেই তার বাড়িতে আসে ও বাড়িটা লিখে দিতে বলে। আজমল খান (অর্ণ মুখোপাধ্যায়) গ্যারেজ মেকানিক। তার স্ত্রী (প্রিয়ঙ্কা সরকার) অভিনেত্রী হতে চায় ও মনে করে, এই কালিধুলো মাখা মানুষটা তার বর হওয়ার যোগ্য নয়। এই সব সমস্যাগুলো যখন এক জায়গায় জড়ো হয়, সেখান থেকেই গল্পের শুরু। ঘটনাক্রমে তারা উজবেকিস্তান যায়। সেখানে আলাপ হয় গাইড ললিতা ঝুরঝুরোস্কির (পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে। দেব জানান এতসব বিগ কাস্টিং এর বাইরে আরো চমক আছে। দেবের কথায়, ‘‘আদতে এটাও সিরিয়াস ছবি। একটা প্লেন হাইজ্যাক হয়ে যাওয়া এবং সেটা ছাড়িয়ে আনার মতো সিরিয়াস বিষয়কে নিয়ে আমরা কমেডি ছবি করছি! সামাজিক বার্তাও থাকবে।’’

কাস্টিং সম্পর্কে দেব বলেন ‘পূজার সঙ্গে কী ভাবে যোগাযোগ হল? ‘‘আমি হিরোইন পাচ্ছিলাম না। সবাই আমার সঙ্গে ‘কবীর’-এর মতো ছবি করতে চায়। ‘হইচই’-এ রুক্মিণীর জন্য মানানসই চরিত্র নেই। এখানে আমি পাগলু মোডে ফিরতে চেয়েছি। ওকে বলি, ‘মাল্টিস্টারার ছবি। তবে আমরা সবাই হিরো, হিরোইন।’ ও রাজি হয়। ভেবেছিলাম, পরে পূজাও হয়তো ‘না’ বলে দেবে। তার পর মিমিকে ফোন করি। মিমিও আমার ভাল বন্ধু। বললাম, ‘তুই নায়িকা নোস, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। আমার বিপরীতে।’ চার-পাঁচ দিন আগে সব ফাইনাল হল।’

ছবির সিংহভাগ শুটিং হবে উজবেকিস্তানে। অনিকেত বছর দেড়েক আগে গিয়েছিলেন মধ্য এশিয়ার এই দেশে। সেখানেই ভারত থেকে আসা একদল দম্পতির হইহুল্লোড় দেখে ছবির গল্প মাথায় আসে। অনিকেতের কথায়, ‘‘বেলি ডান্স, নানা পানীয়, দুর্দান্ত খাবার, অসাধারণ লোকেশন… সব মিলিয়ে হইহই করার জন্য জায়গাটা দারুণ। সিনেমাটি আগামী দুর্গা পূজায় মুক্তির কথা রয়েছে।