“সামিরাকে দুইবার মেরেছিল সালমান শাহ,করিয়েছিল শাবনূরের এবরশন” : রুবি

8560

রাবেয়া সুলতানা রুবি বাঙ্গলার অমর নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহযুক্ত আসামী। আজ কিছুক্ষন আগে তিনি ইউএসএর টাইম টেলিভিশনে এসে একটি লাইভ সাক্ষাৎকার  দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন টাইম টেলিভিশনের সি ই ও আবু তাহের এবং সিনিয়র রিপোর্টার সুলতানা রহমান।

প্রথমে রুবি জানান যে, সালমান ও সামিরার বিয়েতে সামিরার বাবা-মা রাজি ছিলেন না। পরে যখন বিয়েটা মেনে নেন তখন সামিরার পরিবার একটি রিসিপশনের আয়োজন করে। সেই রিসিপশনের কার্ডে সামিরার মা লুসি সালমানের বাবা-মায়ের নাম উল্লেখ করেন নি। যার কারনে সালমানের বাবা-মা এ ব্যাপারটিতে নারাজ ছিলেন।

রুবি আরো জানান, একবার সামিরা রুবিকে তার বাসায় ডাকলে রুবি গিয়ে দেখে সামিরার গায়ে মারের দাগ। সামিরা তাকে জানায় যে, সালমান তাকে মেরেছে। কারন তাদের বাসায় নতুন যে কাজের বুয়া আসে সে সামিরার কাছে একটি শাড়ি চাইলে তিনি তাকে সালমানের মায়ের শাড়িটা দেন এবং বুয়াকে সেই শাড়ি পড়া অবস্থায় দেখে ক্ষেপে গিয়ে সালমান সামিরাকে মারধোর করে। সালমানের মায়ের শাড়ি না দিয়ে সামিরার মায়ের শাড়ি কেন দিল না এটাই ছিল কারন।

সামিরা এই ঘটনা তার মাকে না জানানোর জন্য রুবিকে অনুরোধ করলেও রুবি সামিরার মা ও সামিরার খালাত বোনকে জানিয়ে দেয়।

তিনি অনেক কথার মাঝে বলেন যে, ‘ইমন সামিরার গায়ে আরেকবার হাত তুলেছিল সামিরার চরিত্রহীনতার কারনে’।

কার সাথে সন্দেহ করে সামিরার গায়ে হাত তোলা হয়েছিল সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে না বলে তিনি বলেন যে, ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের অক্টোবরের দিকে। সামিরাকে গায়ে হাত তোলার জন্য ইমনের বাসায় যে মিটিং ডাকা হয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উভয়ের পরিবার, কয়েকজন পরিচালক ও রুবি। এ সময় রুবি সামিরার গায়র হাত তোলা নিয়ে ইমনের মাকে কিছু বললে ইমন রুবি কে বের হয়ে যেতে বলে তার বাসা থেকে এবং আর কখনো এ বাসায় না আসার কথা বললে রুবি সেখান থেকে চলে যায়। আর এটাই সালমান শাহ এর সাথে তার শেষ কথা।

সামিরা রুবিকে একবার বলেন যে, সালমান এর সাথে শাবনুরের প্রেম ছিল। এমনকি এর কারনে শাবনুর প্রেগনেন্ট ও হয়েছিল। যার কারনে সিংগাপুরে গিয়ে এর এবোর্শন করে। কিন্তু ঘটনার সত্যতা কতটকু সে ব্যাপারে রুবি জানে না।

সাক্ষাৎকারের শেষ পর্যায়ে রুবি জানান যে, সামিরাকে সামনে এনে এসব প্রশ্ন করলে সব সঠিক তথ্য জানা যাবে।

তাহলে প্রথমে এক কথা পরে আরেক কথা রুবি কেন বললেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, নিরাপত্তার কারনে ও প্রাণ হারানোর ভয়ে তিনি এ কাজটি করেছেন। কারন তার জানের উপর আক্রমন হতে পারে। তাই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন এর অভিনয় করেছেন।