তারকাদের ভাইরাল “গ্ল্যামমুভের” পিছনের মানুষটা কে?

1034

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকা শিল্পীদের ভিডিও গ্ল্যামমুভ। গ্ল্যামমুভ হচ্ছে তারকাদের ঝলমলে ঝলক। ক্যামেরার গতির ছন্দে গ্ল্যামারাসভাবে নানা স্টাইলের মুভে তারকারা নিজেদের উপস্থাপন করেন। বাইরের দেশগুলোয় এই ‘গ্ল্যামবোট’ বেশ পরিচিত হলেও বাংলাদেশে তেমন আলোচিত ছিল না। তবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২১-এ গ্ল্যামমুভ বেশ দর্শকনন্দিত হয় এবং এই গ্ল্যামমুভের নেপথ্যের মানুষটা হচ্ছে কনক খন্দকার

এই সময়ের তরুণ ও প্রতিভাবান একজন নির্মাতা কনক খন্দকার। কৈশোর বয়স থেকেই কনকের সিনেমা নির্মাণের স্বপ্ন। সে সময় ভাই-ব্রাদারদের কাজগুলো দেখে খুব উৎসাহিত হয়েছি। অনেক জল্পনা-কল্পনা নিয়ে মফস্বল শহর থেকে পাড়ি জমান ঢাকায়। ২০১৫ সালে যোগ দেন পপকর্ণ ইন্টারটেইনমেন্টে, নির্মাতা রেদওয়ান রনির সহকারী পরিচালক হিসেবে। দীর্ঘদিন সহকারী হিসেবে কাজ করার পর করোনার সময় নির্মাণ করেন নিজের প্রথম সল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লটারি’। যা দেশে-বিদেশে বেশকিছু চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছে।
সম্প্রতি কনকের একটি কাজ বেশ দর্শকনন্দিত হয়েছে।
প্রথমবারের সফলতার পর দ্বিতীয়বারের মতো মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের আসরে আবার নির্মাণ করা হয় এই গ্ল্যামমুভ। এবারেও বেশ আলোচিত হয়েছে কনটেন্টগুলো।

কীভাবে এই কাজের সঙ্গে জড়ালেন জানতে চাইলে কনক বলেন, ‘একদিন হঠাৎ করেই প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান পিয়াস ভাই ও রেদওয়ান রনি ভাই আমাকে জানান গ্ল্যামবোটের মতো বিচিত্র কিছু তারা করতে চান। তারপর নানা পরিকল্পনা করে প্রথম গ্ল্যামমুভটা করে ফেলি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এক ছাদের নিচে এক সঙ্গে এতোগুলো তারকার সাথে কাজ করতে পারার অভিজ্ঞতা আমার জন্য বেশ নতুন ছিল। দ্বিতীয়বার অর্থাৎ এবছর গ্ল্যামমুভ করার ব্যাপারে প্রথমবারের চাইতে একটু বেশি কনফিডেন্স ও সাহস ছিল। সেই সাথে পুরো টিমের সহযোগিতায় আমি কাজটা ভালোভাবে করতে পেরেছি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা বিশেষ করে সিনেমাটোগ্রাফার কাওসার, এডিটর হুমাম ও শ্যুটিং ব্যবস্থাপক বুলেটের নাম আলাদা করে বলতে চাই।’
ভবিষ্যতে নির্মাণ নিয়ে পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে কনক বলেন, ‘বর্তমানে একটি চাকরি করছি পাশাপাশি নির্মাণও করছি। ইচ্ছা আছে আস্তে-ধীরে একটা ফিকশন বানানোর।‘