‘দেব আমার বন্ধু, সম্পর্কে কমিট করার সময় নেই’ : রুক্মিণী

482

টলিউডের নতুন নায়িকা রুক্মিণী মৈত্র। খুব কম সময়ের মধ্যেই নিজের একটা ভাল অবস্থান বানিয়ে ফেলতে পেরেছেন তিনি। সেই তেরো বছর বয়সে প্রথম মডেলিং। তার পর থেকে রুক্মিণী মৈত্রর ক্যারিয়ার গ্রাফ শুধুই ঊর্ধ্বমুখী। দেশের সেরা সেরা ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের মুখ হয়েছেন। র‌্যাম্পে হেঁটেছেন দেশের সেরা ডিজাইনারদের হয়ে। গত জুনে রিলিজ হয়েছিল তার প্রথম ছবি ‘চ্যাম্প’। আর দু’মাস পেরোতে না পেরোতেই দ্বিতীয় ছবি ‘ককপিট’। দুটো ছবিতেই যদিও বিপরীতে দেব।

অভিনয়ের শুরুটা কিভাবে হল সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চ্যাম্প’-এর সময় দেব-রাজদা মিলে এমন জোরাজুরি করল, খানিকটা নিমরাজি হওয়ার মতো হ্যাঁ বলেছিলাম। তবে ‘ককপিট’-এর ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। আমার মনে হয়, ভাল সিনেমায় কেন শুধু হিরোরাই তারিফ পাবে! হিরোইনদের বেলায় কিচ্ছু জুটবে না। সে দিক থেকে এই চিত্রনাট্যটা আলাদা। ছবিটা ভীষণ ভাবে মহিলাকেন্দ্রিক। আমিও তাই একটু লোভী হয়ে পড়লাম। আর রাজি হয়ে গেলাম’।

যশরাজ ফিল্ম থেকে অফার পেয়েও সেটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পনেরো-ষোলো বছরের ওরকম অপরিণত বয়সে সিনেমা জগতে ঢোকা ঠিক হতো না বলে তিনি মনে করেন।

নিজের ব্যাস্ততা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চ্যাম্প’-এর পর থেকে তো শুধু ছুটেই বেড়াচ্ছি। সাকসেস পার্টিতেও যেতে পারিনি। ‘ককপিট’-এর শ্যুট শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ ছবিতে আমার স্টান্ট আমি নিজে করছি। একবার পা কেটে গিয়েছিল। এমনকী ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত পাইনি’।

দেবের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দেব আমার খুব কাছের বন্ধু। অভিনয়ের পেশাকে বাইরে থেকে যতই ঝলমলে দেখাক না কেন, আসলে ভীষণ ডিম্যান্ডিং। আমার কমিটমেন্ট এখন কাজের প্রতি। সম্পর্কে কমিট করার সময় নেই। আর বন্ধুত্বের সেরা অংশ হল, আগের বার যেখানে শেষ হয়েছিল, পরের বার সেখান থেকেই শুরু করা যায়’।

টলিউডের আরেক হিরো জিৎ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জিৎ ইজ ভেরি জেনুইন। টলিউডে গ্রুপ, গ্যাং এগুলো কিন্তু আসলে নেই। এত ছোট ইন্ডাস্ট্রি, তার মধ্যে দলবাজি হলে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি। সেটা দেব-জিৎ সবাই বোঝে। কম্পিটিশন আছে। সেটা তো ভাল। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে কেউ বাড়তি চেষ্টা করবে কেন?’

কোয়েল এর সঙ্গে তার অভিনয়ে আসার আগেই আলাপ ছিল। কোয়েলই তাকে বলেছিল, ‘তোমার অভিনয়ে আসা উচিত। তুমি এলে অনেক পরিবর্তন হবে।’ আর কোয়েল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলা ছবির জগতে ও-ই সম্রাজ্ঞী। অবাঙালি বৃত্তেও লোকে কিন্তু ওকে চেনে। তবে ওকে দেখলে এতটুকু বোঝা যাবে না’।

তবে অভিনয়ে নিজের অবস্থান আরো শক্তশালী করার জন্য তিনি অভিনয়ে আরো দক্ষ হতে চান। আর সে জন্য তিনি সাত-আট মাসের একটা ব্রেক খুজছেন।  ‘ককপিট’-এর পর সেটা পেলে অ্যাক্টিংয়ের ক্লাস করার খুব ইচ্ছে পোষন করেছেন রুক্মিণী মৈত্র।