চলচ্চিত্র পরিবারের আন্দোলনে আটকে যাচ্ছে ‘চালবাজ’

661
ছবিঃ সংগৃহীত

যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা সংশোধন ও কঠোর করার দাবিতে গত বছরের প্রায় পুরো সময় কেটেছে আন্দোলনে। সেই আন্দোলন সফলও হয়েছে। নতুন করে তৈরি করা হয়েছে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের নীতিমালা। তবে আবার চলচ্চিত্রপাড়া উত্তপ্ত। বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো নতুন আন্দোলনের আভাস দিচ্ছে। এবারের আন্দোলন ভারতের কলকাতা থেকে আমদানি করা ছবির বিরুদ্ধে।

গত বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলেনের আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার। সেখান থেকেই পাওয়া যায় নতুন আন্দোলনের আভাস। চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক অভিনেতা ফারুক বলেন, ‘এখন থেকে ঈদ, পূজা, পয়লা বৈশাখ, ভালোবাসা দিবসসহ বছরের বিশেষ দিনগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা বা যৌথ প্রযোজনার কোনো ছবি প্রেক্ষাগৃহে চলতে দেওয়া হবে না। যদি দেশীয় কোনো ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত না থাকে, তবেই প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে যৌথ প্রযোজনার বা আমদানি করা ছবি চলতে পারে।’ তবে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে কঠোর আন্দোলন ও কর্মসূচির ডাক দেবে চলচ্চিত্র পরিবার।

চলচ্চিত্র পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রিভিউ কমিটিকে চাপ দিয়ে বাংলাদেশের শাকিব খান ও ভারতের শুভশ্রী অভিনীত ‘চালবাজ’ ছবিটির প্রিভিউ করানো হয়, যাতে ছবিটি সামনে পয়লা বৈশাখের মধ্যে আমদানি করা যায় এবং এ উপলক্ষে মুক্তি দেওয়া যায়। চালবাজ ছবির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউএনএ ট্রেডার্সের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁরাও চলচ্চিত্র পরিবারের ক্ষোভ ও আন্দোলনের ব্যাপারে জেনেছেন। তবে ওই কর্মকর্তা পাল্টা অভিযোগ তোলেন, সব নিয়ম ও নীতিমালা মেনেও এই আন্দোলন ও চলচ্চিত্র পরিবারের ক্ষোভের কারণে তাঁদের ছবির আমদানিকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা এরপরও জানান, আগামী ৬ এপ্রিল বা ১৩ এপ্রিলের মধ্যেই ‘চালবাজ’ আমদানি করে মুক্তি দেওয়া হবে।

‘চালবাজ’ ছবির আমদানি নিয়ে প্রিভিউ কমিটির সদস্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহিন আরা বেগম বলেন, ‘চালবাজ’ ছবি আমদানির জন্য আবেদনের যাচাই মিটিং হয়েছে। তবে রেজল্যুশন না হওয়া পর্যন্ত মৌখিকভাবে কোনো বক্তব্যের মূল্য নেই, মন্ত্রণালয়ের লিখিত অনুমতিও লাগবে। এর আগে ছবিটি আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি হয়নি, তা বলা যাচ্ছে না।