শাশুরিকে দজ্জাল বললেন সামিরা

508

অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর জন্য ২১ বছর ধরেই সালমানের পরিবার ভক্ত আর আইনের চোখে আসামির কাঠগড়ায় সামিরা। সম্প্রতি সালমানের পরিবার সরকারের হস্তক্ষেপ আর ইন্টারপোলের সহযোগিতায় চাচ্ছে সঠিক তদন্তের জন্য ।
এ প্রসঙ্গে সামিরা এক গনমাধ্যমকে বলেন বলেন, ‘এই মামলার সঠিক তদন্ত আমিও চেয়ে এসেছি। স্বামী খুনের অপবাদ আমি বয়ে বেড়াতে চাই না। এই তো সেই স্বামী যে আমার একটু সুখের জন্য কতো পাগলামি করেছে। আমিও তাকে প্রাণের মতো ভালোবেসেছি। সেইসময় যারা সালমানের কাছের মানুষ ছিলেন তারা সবাই জানেন এসব। আমাকে সালমানের মা ব্যক্তি আক্রোশ থেকে খুনের আসামি বলছেন।’

সালমান শাহের ভক্তদের উদ্দেশ্যে সামিরা বলেন, ‘আমার কথাগুলো সালমান শাহের ভক্তদের মানতে কষ্ট হবে। কিন্তু এটাই সত্যি। আমারও কষ্ট হয়। যার হাত ধরে বাবা, মা পরিবার ছেড়ে চলে এসেছিলাম তাকে হারিয়েছি ভাবতে। আজও ইমনের বিকল্প কেউ নেই আমার মনে। বেঁচে আছি, বেঁচে থাকতে হয়।

ইমনের মায়ের ভুল কথায় বিভ্রান্ত হয়ে, আবেগতাড়িত হয়ে তার ভক্তরা আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেন, বাজে ধারণা করেন। কিন্তু কারো উপর আমার কোনো রাগ নেই, কষ্ট নেই। প্রথম থেকেই তারা সালমান শাহকে ভালোবাসেন।’

কাঁদতে কাঁদতে সামিরা বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। আমি কিছু করে থাকলে বাসায় বসে এই দোষ আমার কাঁধে নিতাম না। এখন এত বোকা কোনো বাংলাদেশের মেয়ে নেই। আর আমাদের দেশে শাশুরি-বউয়ের মধ্যে টুকটাক ঝামেলা থাকেই। কিন্তু আমার শাশুরি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইমনের মৃত্যুকে ‘ইনক্যাশ’ করতে চাইছেন। বারবার তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইমনের খুনি হিসেবে বলছেন- সামিরা-সামিরা-সামিরা।

কেন? আমার ইমন (সালমান শাহ) যতদিন বেঁচে ছিল আমার শাশুরি কি সে সময় বোবা ছিলেন? কেন ইমন নিজে বলেনি? আমাকে নিয়ে কারো কাছে কোনো অভিযোগ করেনি? কারণ সত্যিটা হলো আমার কোনো দোষ ছিলো না। ইমন ওর মাকে পছন্দ করতো না। এটা ইমনের পরিবার, খালা-মামা ও তাদের বাচ্চারা জানতো। ফিল্মের লোকেরাও জানতো। ওর মাকে নিয়ে সবসময়ই ও মানসিক প্রেসারে ভুগতো। অনেক কষ্ট নিয়ে সে আলাদা হয়েছিলো মায়ের কাছ থেকে।

ওর মা কারাগারে ছিলো কিছুদিন। ইমন দেখতে যেতো না। আমিই জোর করে পাঠিয়েছি। এসব কথা নীলা চৌধুরী কী করে ভুলে যান। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি তার পাশে থাকতে। কিন্তু তিনি দজ্জাল শাশুরিই হতে চেয়েছেন। যার কাছে নিজের ছেলে ভালোবাসা বঞ্চিত, তার কাছে ছেলের বউয়ের ভালোবাসা আশা করা যায় না। এসব কথা বলতে গেলে আমি অনেক আবেগ প্রবণ হয়ে যাই। আমার উপর দিয়ে অনেক ঝড় যাচ্ছে। আমিও চাই আসল সত্যটা বের হোক। তাহলে আমি শান্তি পাব।’

সামিরা ও নীলা চৌধুরী একে ওপরের প্রতি অভিযোগ চলছেই। কিন্ত তাদের উভয়ের মতোই দেশবাসী সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য সমাধানের অপেক্ষায় আছে।