যে কারনে মোস্তাককে বিয়ে করেছিলেন সামিরা

902

কিংবদন্তি সালমান শাহর মৃত্যু রহস্যের জট যেন খুলছেই না। অভিযুক্ত এবং তালিকাভুক্ত আসামিরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করছেন সেই প্রথম থেকেই। এদের মধ্যে বর্তমানে ভিডিও বার্তা দিয়ে আলোচিত হওয়া রুবিও আছেন। ২১ বছর ধরেই সালমানের পরিবারের দাবি, সালমান আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে। খুনের মামলাও করেছে সালমানের পরিবার। সেখানে আসামি করা হয়েছে সামিরা ও তার মাকে। আছেন রুবি, ডন, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ আরও বেশ কয়েকজন। সামিরার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পরকীয়ারও।

কিন্তু বরাবরের মতোই চুপ ছিলেন সালমানের স্ত্রী সামিরা। সালমান মৃত্যুর দীর্ঘ ২১ বছর পেরিয়ে গেলেও কখনো প্রকাশ্যে মুখ খুলেননি তিনি। অবশেষে সেই নিরবতার অবসান ঘটলো।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন সালমান শাহের সঙ্গে পরিচয়, প্রণয়, বিয়ে, নিয়ে অনেক কথা।

কেন প্রেসে আসতে চাননি সেই প্রসঙ্গে সামিরা বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তার লাইফটা শুরু হয়েছিলো প্রেসকে দিয়ে ইমনের হাত ধরে। ইমন যখন ছিলো না আমি আর এই জীবনটা চাইনি। তাকে ছাড়া আমি আর এই প্রেসের মুখোমুখি হতে চাইনি। সবকিছু থেকে বের হয়ে এসে আমি একটা নরমাল লাইফ চেয়েছি। নরমাল লাইফ বলতে বাবা মায়ের সঙ্গে থাকা।

সামিরা তার দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনটা বছর একা একা কাটালাম। একটা সময় আমি ভেবেছি বিদেশ চলে যাবো পড়াশোনা করতে। সেটা আর হয়নি। আমি ইমনের মৃত্যু মানতে পারছিলাম না। তার স্মৃতি নিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাইলাম। তখন খুব প্রয়োজন বোধ করলাম যদি একটি সন্তান আমাদের থাকতো! একটা সময় ইমনেরই বন্ধু মোস্তাক ওয়াইজ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো। আমি তাকে ফিরিয়ে দেই। পরে তার পরিবার ও আমার পরিবারের প্রচেষ্টায় বিয়েটা হয়। আমি এখন ভালো আছি।’

সামিরা তার বর্তমান সংসার নিয়ে বলেন, ‘এখানে আমার তিনটি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে। সে মালয়েশিয়াতে থাকে। তারপর আরও দুটি মেয়ে রয়েছে আমার। তারা ঢাকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যতোদিন আমার এই পক্ষের শাশুরি বেঁচে ছিলেন আমার পুরনো শাশুরি কিন্তু চিৎকার চেচামেচি করেননি। অনেকদিন তিনি এসব নিয়ে কিছু বলতেন না। কারণ ইমনের মা আমার শাশুরিকে হাড়ে হাড়ে চিনতেন। তারা প্রতিবেশি ছিলো। যখনই আমার শাশুরি মারা গেলেন তিনি আমাকে নিয়ে নানা রকম ব্লেম দিতে শুরু করলেন নতুন করে। আমার সন্তানদের, আমার স্বামীর, আমার বাবা, মা, বোন ও তাদের পরিবারের যদি কোনো ক্ষতি হয় তবে তার দায় নীলা চৌধুরীকে নিতে হবে’।

সামিরার বলা এসব কথার প্রেক্ষিতে সালমানের মা নীলা চৌধুরীর কোন মন্তব্য এখনো পাওয়া যায় নি।