এবার পিবিআই এর কাঠগড়ায় সামিরা

513

অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর জন্য ২১ বছর ধরেই সালমানের পরিবার ভক্ত আর আইনের চোখে আসামির কাঠগড়ায় সামিরা। সম্প্রতি সালমানের পরিবার সরকারের হস্তক্ষেপ আর ইন্টারপোলের সহযোগিতায় চাচ্ছে সঠিক তদন্তের জন্য ।  ঘটনার ২০ বছর পর আলোচিত ওই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআইকে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এক গণমাধ্যমকে জানায়, সালমান শাহ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেলেও কেউ তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেনি। সাক্ষীরা তাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখেছে বলে আগের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। যেহেতু সে সময় তার স্ত্রী সেখানে ছিলেন এবং তিনি হয়তো ফ্যান থেকে তার মরদেহ নিচে নামিয়েছেন, তাই এ বিষয়ে তাকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করা হবে। সেগুলোর উত্তর পেলে তদন্ত এগিয়ে নেয়া হবে।

সামিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে পিবিআই ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশীর আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়নি। আমরা জানি উনি দেশের বাইরে আছেন, দেশে ফিরেছেন কি না জানা নেই। তদন্তের প্রয়োজনে যাকে যাকে প্রয়োজন সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে সামিরা গণমাধ্যমে বলেন, ইমনকে (সালমান শাহ) হত্যা করা হয়নি, সে আত্মহত্যা করেছিল। সত্য কথা একটাই। সত্য কখনও দুটা হয় না। মিথ্যা কথা বলতে গেলে পেঁচিয়ে বলতে হয়। একেকবার একেকজনের নাম বলতে হয়। আমি যা বলেছি সেটাই প্রমাণ হবে। ইন্টারপোল, এফিবিআই আসলেও কোনো সমস্যা নেই। আমিও চাই তারা আসুক।

সামিরা আরও বলেন, সালমান ভক্তরা এতদিন এক তরফা শুনে এসেছে। তাই ওরা আমাকে দোষ দেয়। এতে ওদের কোনো দোষ নেই। এখন ওদের বোঝা উচিত। এখন অনেক কিছু আছে, সবকিছু মিলিয়ে দেখুক। কাগজপত্র, বিভিন্ন প্রমাণ, ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) রিপোর্ট, সিআইডি, জুডিশিয়াল রিপোর্ট দেখুক। সর্বশেষ পিবিআই দেখছে এখন। রিপোর্ট একই হবে ইনশাআল্লাহ।’

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার বলেন, ঘটনার ২০ বছর পর মামলাটি আমাদের কাছে এসেছে। আমরা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছি। তবে মামলায় সাক্ষ্য নেয়ার জন্য আমরা যাদের খুঁজছি, তাদের কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহর। রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনায় সে সময় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।