প্রবাদ আছে, চাঁদেও দাগ আছে। তেমনি তুমুল জনপ্রিয় ও বলিউডের এখনকার তারকাদের কাছে পরম পূজনীয় শ্রীদেবীর জীবনেও এমন কিছু অধ্যায় আছে, যেগুলোর কারনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কিত হয়েছিলেন তিনি।

মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বলিউডের অন্যতম নামি প্রযোজক বনি কাপুরের সঙ্গে সুখে সংসার করেছেন অভিনেত্রী শ্রীদেবী। যদিও তাঁর সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর বিতর্কিত প্রেম কাহিনির কথা এখনো কান পাতলে শোনা যায় বলিউডের অন্দরে। বলা হয় মিঠুনের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বনি কাপুরের গলায় মালা দেন শ্রীদেবী।

বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা একটি ম্যাগাজিন সাক্ষাৎকারে জানান, কোনো একসময় শ্রীদেবী প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন মিঠুনের সঙ্গে শ্রীদেবীর প্রেম ও একইসঙ্গে বনি কাপুরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই । এ জন্য তিনি নাকি স্বামী বনির হাতে রাখিও বাঁধেন। শ্রীদেবীর আগমন মিঠুন ও বনি কাপুরের সম্পর্ককে বিষিয়ে তুলেছিল। বনি কাপুরেরও শ্রীদেবীর প্রতি আগ্রহ রয়েছে এটা জানতে পারেন মিঠুন। অন্যদিকে মিঠুনের বৈবাহিক জীবনেও নানা সমস্যা তৈরি করে শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।

আশির দশকে বলিউডে প্রবলভাবে দ্বিতীয় বিবাহের চল চলছিল। ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী, রাজ বব্বর-স্মিতা পাতিলের বিয়ের পরে গুজব ছড়ায় যে লুকিয়ে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেছেন মিঠুন।

মিঠুনের স্ত্রী যোগীতা বালি যখন শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তখন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে গুজবও ছড়ায়। পরে যোগীতা জানান, মিঠুন দ্বিতীয় বিয়ে করলেও তিনি মেনে নিতে রাজি আছেন।

শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেও স্ত্রী যোগীতাকে ভালোবাসতেন মিঠুন। মুখে বললেও তিনি যোগীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ করেননি এটা জানতে পারেন শ্রীদেবী। কিছুদিন দেখার পরে ১৯৮৮ সালে মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন শ্রীদেবী। এসবের পরে যোগীতার সঙ্গেই থিতু হন মিঠুন। সে সময় তাঁদের আর এক পুত্রেরও জন্ম হয়। অন্যদিকে বিবাহিত বনি কাপুরের সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা ছড়াতে থাকে। তবে দুজনই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।

বনির সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল শ্রীদেবীর। প্রথম সন্তান জাহ্নবীর জন্মের আগে নিজেদের সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনেন বনি-শ্রীদেবী। প্রথমে মানতে না চাইলেও ধীরে ধীরে শ্রীদেবীকে মেনে নেয় বনি কাপুরের পরিবার। এবং দুজন সুখী দম্পতির মতো সংসার করেছেন।

বলিউডের সনামধন্য খ্যাতিমান তারকা অভিনেত্রী শ্রীদেবী আর নেই। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুবাইয়ে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।