আমাকে হত্যাই ছিলো মূল উদ্দেশ্যঃ জাজ মাল্টিমিডিয়া সিইও

145
ছবিঃ সংগৃহীত

সম্প্রতি দুর্বৃত্তরা জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকনের উপর হামলা চালিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খোকন নিজেই স্ট্যাটাস দিয়ে এ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে কেয়া মনি নামে এক তরুণীর ছবি পোস্ট করে লিখেন, ‘‌এই মেয়েটি ও তার স্বামী একটি সঙ্গবদ্ধ দলের প্রতারক। আজ সন্ধ্যা ৭ টায় আমার ২টি আই ফোন , ২টি ক্রেডিট কার্ড , ন্যাশনাল আইডি কার্ড, কানাডিয়ান সিটিজেন শিপ কার্ড, পিস্তল, মানিব্যাগ নগদ টাকা নিয়ে যায়।

এদিকে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে, পুলিশ ব্যাপারটা সাধারণ চোখে দেখছেন না। রমনার ওসি মাইনুল, ওসি (তদন্ত) আলি হোসেন , এস আই বাসার সহ বেশ কিছু উচ্চ পদস্থ অফিসার সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে তারা আসামি ধরার বেপারে আশাবাদী ও আগামী ৩ দিনের মধ্যে তারা আসামি গ্রেফতারে সক্ষম হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।’

ঘটনার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আসামীদের গ্রেপতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে জানা গেছে কেয়া মনি খোকনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। মূল ঘটনা প্রসঙ্গে আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘২০ মার্চ সন্ধ্যায় আমি মগবাজার থেকে মালিবাগের দিকে যাচ্ছিলাম গ্রান্ডপ্লাজা সংলগ্ন রাস্তায় নূরজাহান টাওয়ারের সামনে কেয়া মনি ও তার স্বামী আপনের সঙ্গে আমার দেখা হয়। তারা আমাকে স্যার বলে সালাম দিয়ে জানায় এখানেই তাদের বাসা। কথা বলতে বলতে আমাকে নূর জাহান টাওয়ারের লিফটের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছা মাত্র কয়েকজন ছেলে এসে আমাকে ধরে ফেলে।আমার মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেয়। এরপর দোতলায় একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়ে প্রচুর মারধোর করে। একসময় তারা আমার পিস্তলের লাইসেন্স নিয়ে নেয়। আমাকে আহত করে ফেলে দিয়ে তারা কোনো প্ল্যান করার জন্য অন্য ঘরে চলে গেলে আমি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে জানালা দিয়ে লোকজনকে ডাকতে থাকি। পরে একজন জানালার কাছে আসলে তাকে আমার মামার নাম্বার দেই। এরপর মামা তার লোকজন নিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে।’

খোকন আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশ্য থাকলে তারা আমাকে লিফট থেকেই বিদায় করে দিত কিন্তু তা না করে উপরে এসে আমাকে রক্তাক্ত করত না। মূলত আমাকে হত্যা করার জন্যই আমার উপর তারা হামলা চালায়।’

মেয়েটির বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকজন টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এদিকে কেয়া মনি পাল্টা অভিযোগ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘খোকন নাকি তাকে রেপ করতে চেয়েছিলো।’

কেয়া মনির অভিযোগের ব্যাপারে খোকন বলেন, ‘তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য নতুন প্ল্যান করছে এবং তারই অংশ হিসেবে তারা ধর্ষণের কথা বলছে। এটা আমিও শুনেছি। শুধু তাই নয়, ভারত থেকে একজন আমাকে ফোন করে বলেছেন বিষয়টি নিয়ে ঘাটঘাটি না করতে। তিনি নাকি আওয়ামীলীগের নেতা। আমিও বিষয়টি আওয়ামীলীগের উর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি।’

এই ঘটনার পর মেয়েটির বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকজন টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন মেয়েটি চুরি ও ছিনতাই চক্রের সদস্য।

উল্লেখ্য, আলিমুল্লাহ খোকন ২০১৪ সাল থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।