গত সোমবার আত্মহত্যা নয়, সালমান শাহকে খুন করা হয়েছিল বলে দাবি করে অনলাইনে ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও সালমান শাহ হত্যাকাণ্ড মামলার ৭ নম্বর আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি। ফলে শুরু হয় মৃত্যু রহস্যের নতুন মোড়।

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় সালমান শাহর লাশ। পরে সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছেলের অপমৃত্যুর মামলা করেন রমনা থানায়। সেই সময়ে সালমানের বাসা থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট বা আত্মহত্যার চিঠি উদ্ধার করে।

যেখানে লেখা ছিল, ‘আমি চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার, পিতা-কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ১৪৬/৫, গ্রিনরোড, ঢাকা-১২১৫ ওরফে সালমান শাহ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে আজ অথবা আজকের পরে যেকোনো দিন মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি। ’

কিন্তু সুইসাইড নোটের শেষে কারও স্বাক্ষর ছিল না। পরে সিআইডির হস্তবিশারদেরা চিঠিটা পরীক্ষা করেন এবং তারা বলেন, এটা সালমান শাহের হাতের লেখা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী। তিনি মানতে নারাজ ওটা সালমানের লেখা।

তিনি বলেন, ‘আমরা ওকে ইমন নামেই ডাকতাম। অথচ চিঠিতে ইমন নামের কোনো অস্তিত্ব নেই। ও থাকে ইস্কাটনের বাসায়। কিন্তু ঠিকানা লেখা আছে আমাদের বাসার। সালমান শাহ নামটিও ঠিকানার পরে লেখা। কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করার আগে এ রকম গুছিয়ে বাবার নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে চিঠি লেখে বলে আমার জানা নেই। এ চিঠি যারা আমার ছেলেকে খুন করেছেন তারাই লিখেছেন’।

গত সোমবার রুবি সেই ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। সালমানকে যদি হত্যাই করা হয় তাহলে এটা সুস্পষ্ট যে সুইসাইড নোটের লেখাটা সালমানের না।

এবার এই সুইসাইড নোট নিয়ে এই রহস্যের জল কোন পর্যন্ত গড়ায় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।