একটা তোয়ালের দাম ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা! তেমনই আরও কিছু

365
ছবিঃ সংগৃহীত

বলিউড তারকাদের নিয়ে সিনেপ্রেমীদের চিরকালীন উন্মাদনার কোনো শেষ নেই। সিনেমায় তাঁরা যে সমস্ত জিনিসপত্র ব্যবহার করেন, তা কিনতে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটে যায় মাঝেমাঝেই। যেমন কালজয়ী ‘লাগান’ ছবিতে আমির খান ব্যবহৃত সেই ব্যাট কিংবা সাল্লু ভাইয়ের বিখ্যাত ‘জিনে কে হ্যায় চারদিন’-এর সেই বিখ্যাত তোয়ালে- এ সব কিনতে গাটের পয়সা ভালই খসে ভক্তদের। তেমনই কিছু সামগ্রীর কথা উল্লেখ করা হল এখানে, যেগুলি মোটা টাকায় নিলাম হয়েছে।

শাম্মি কপূরের নাম শুনলে প্রথমেই মাথায় আসে হাড়হিম করা ঠান্ডায় তাঁর ‘ইয়াহু’ চিৎকার! আর সেই ‘চাহে কহি মুঝে জঙ্গলি কহে’ গানে দর্শকের নজর কেড়েছিল শাম্মি কপূরের পরনের খয়েরি রঙের জ্যাকেটটি। সে সময়ে ‘জঙ্গলি জ্যাকেট’ নামেই প্রসিদ্ধ হয়েছিল এই পোশাক। ৮০ হাজার টাকায় নিলাম হয়েছিল সেই জ্যাকেট। তবে শোনা যায়, যে বলিউডের পারফেকশনিস্ট আমির খানই নাকি কিনেছিলেন শাম্মি কপূর ব্যবহৃত ওই জ্যাকেট।

সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত ‘দেবদাস’ ছবিতে মার ডালা’ গানটিতে চন্দ্রমুখী অর্থাৎ মাধুরী দিক্ষিত একটি লেহঙ্গাপরেছিলেন, মনে আছে? বলিউডের নামজাদা ড্রেস ডিজাইনার মণীশ মলহোত্র সবুজ রঙের ওই লেহঙ্গাটি ডিজাইন করেছিলেন। ৩ কোটি টাকায় নিলাম হয়েছিল বিখ্যাত সেই লেহঙ্গা।

‘লাগান’ ছবিতে আমির খানের ব্যাটের জাদুকরিতেই নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল ইংরেজদের। ইংরেজরা পিছু তো হটেইছিল, সঙ্গে ছবিটিও অস্কারের মনোনয়ন পেয়ে যায়। গোটা ‘লগান’ টিম অর্থাৎ আমির থেকে শুরু করে ছবির পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর— সক্কলে সই করেছিলেন সেই ব্যাটে। ১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকায় নিলাম হয়েছিল সেই ব্যাট। যদিও সেই টাকা পরে সেবামূলক কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ছবির প্রযোজকেরা।

 

একটা তোয়ালের দাম ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা! কখনও শুনেছেন? তবে সে তো যেনতেন তোয়ালে নয়! খোদ সালমান খান ব্যবহার করেছেন। ‘মুঝসে শাদি কারোগি’ ছবিতে সলমন খান ব্যবহৃত সেই তোয়ালে যেন একসময়ের সিম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর তাতেই তো এত চড়া দামে নিলাম হয়েছিল সেই তোয়ালেটি।