‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হলেন জেসিয়া ইসলাম

348
সংগৃহীত।

জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খেতাবটি বিয়ের তথ্য গোপন রাখার জন্য বাতিল করা হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিযোগিতার আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরী। তার জায়গায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম রানারআপ জেসিয়া ইসলাম।

রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিন-এ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার (৪ অক্টোবর) এ ঘোষণা দেয়া হয়। বহু নাটক আর সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে জেসিয়া ইসলামের নাম ঘোষণা করেন বিচারক বিবি রাসেল।

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে চীনে অনুষ্ঠিত হওয়া মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার মূল পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন জেসিয়া ইসলাম। আয়োজকরা এমনটাই জানিয়েছেন।

যদিও আয়োজকরা জানান, বিয়ে হলেও প্রতিযোগিতায় এভ্রিলের অংশগ্রহণ অবৈধ নয়। মিস ওয়ার্ল্ডের মূল প্রতিযোগিতার নির্দেশনা অনুযায়ী ডিভোর্সি, সিঙ্গেল মাদারেরা অংশ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে এভ্রিলের অংশগ্রহণ অবৈধ নয়। কারণ তার বিয়ে হলেও তিনি এখন সিঙ্গেল।

আয়োজকরা বলেন, সিঙ্গেল থাকার বিষয়টি এভ্রিল স্বীকার করেই অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু যেহেতু তিনি তথ্য গোপন করেছেন তাই শাস্তিস্বরূপ তাকে বাদ দেয়া হবে। মূল আয়োজনকারীরা চান না একজন মিথ্যাবাদী একটি দেশের প্রতিনিধি হয়ে আসুক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিচারকদের রায়েই নির্বাচিত হয়েছিলেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। কিন্তু ভুল করে জান্নাতুল সুমাইয়ার নাম ঘোষণা করেন উপস্থাপক শিনা চৌহান।

সেখানে বাংলাদেশের খ্যাতিসম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল বলেন, ‘আমরা বিচারকরা রায় দিয়েছি, নম্বর দিয়েছি। কে বিবাহিত না ডিভোর্সি সেগুলো দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিজয়ীর নাম ঘোষণার সময় এনটিভিতে লাইভ ছিল। সময় কম থাকায় তাড়াহুড়ো চলছিল। তাই এ ভুলটা হয়। তবুও সবার বিতর্ক কাটাতে আবারও ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানেও প্রথম হয়েছেন এভ্রিল। তিনি পান ৫১ পয়েন্ট, জেসিয়া ৪৮ এবং জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি পান ৪৭ পয়েন্ট।

চঞ্চল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এটাকে ইতিবাচকভাবে প্রচার করুন। এ আয়োজনের আয়োজকদের ধন্যবাদ দিন। সমালোচনায় কিছু প্রাপ্তি নেই।