সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই: ‘স্বপ্নজাল’ কতটুকু মিটিয়েছে দর্শকদের প্রত্যাশা!

199

গত ৬ ই এপ্রিল ঢাকা সহ সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে স্বপ্নজাল। আজ সহ মুক্তির ৪ দিনের মাথায় আকাশসম প্রত্যাশার চাপ নিয়ে কতটুকু সফল সিনেমাটি? ডিজিটাল স্লোগান তুলে বদলে যাচ্ছে দেশ। বদলে যাচ্ছে দেশের বিনোদন উপভোগের মাধ্যম। বিশ্বায়নের এই যুগে সিনেমার সফলতা নির্ধারণের মাপকাঠিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এখনকার দর্শকরা শুধু সিনেমা দেখেই ভালো লাগা খারাপ লাগার সিদ্বান্ত ঠিক করেন না। বরং ভার্চুয়াল লাইফে মেতে ওঠেন সিনেমা হিসেবে যৌক্তিকতা আর সফলতার মানদন্ড ছোয়ার নিজস্ব মতামতে।

দীর্ঘ নয় বছর পর গিয়াস উদ্দিন সেলিম ফিরলেন তাঁর স্বপ্নজাল সিনেমাটি নিয়ে। বেশকিছুদিন থেকেই ফিরে আসার প্রত্যাশা আর নিজের কাজকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এক অদৃশ্য চাপ থেকেই হয়তো তিনি বলেছেন “মনপুরা মনপুরার মতো, স্বপ্নজাল স্বপ্নজালের মতো ” মুক্তির আগেই মনপুরা ডিরেক্টরের সিনেমা তকমা লেগে যাওয়া স্বপ্নজালে কতটা বুদ্ হতে পেরেছে দর্শক তা এখনই পুরোপুরি বলা সম্ভব না হলেও দর্শকরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন। হলগুলো আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবার মনে গেঁথে গিয়েছে শুভ্রা চরিত্রের পরীমনি আর ফজলুর রহমান বাবু।

ফেসবুকে চলচিত্র বিষয়ক গ্রূপ গুলোতে চলছে স্বপ্নজালের জয়গান। অনেকদিন পর না পাওয়া ভালো লাগার অনুভূতি ঝরে পড়ছে মুভিলাভারদের পোস্ট গুলোয়। সিনেমাটি দেখে অনেক সেলিব্রেটি ফেসবুকে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। নাট্যজন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেছেন ‘‘স্বপ্নজাল’ আমার ভালো লেগেছে। প্রেমের গল্প। এতে কিশোর-কিশোরীর প্রেম দেখানো হয়েছে। প্রেমের গল্পটা ভালো লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এই বিষয়টা গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভালো হ্যান্ডেল করতে পারেন। ‘স্বপ্নজাল’ খুবই পরিছন্ন বাণিজ্যিক ছবি। দর্শক সিনেমাটি দেখবে।’

জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক এবং কলামিষ্ট আনিসুল হোক প্রিমিয়ার দেখে বলেছেন ”স্বপ্নজাল আমার খুব ভালো লেগেছে। আবার দেখতে যাব। এছবি সবার দেখা উচিত ” সিনেমায় অভিনয় করা ইরেশ জাকের নিজের ব্যাক্তিগত অনুভূতি জানিয়ে বলেছেন ”সেলিম ভাই তার দক্ষ হাতে নান্দনিকভাবে ছবি নির্মাণ করেছেন। সব মিলেয়ে ‘স্বপ্নজাল’ আমার একটি স্মরণীয় জার্নি হয়ে থাকবে। ”

সিনেমা দেখে নিজের মুগধতার কথা জানিয়েছেন মনপুরার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়াও নামিদামি অনেক গুণী ব্যাক্তিরাও স্বপ্নজাল সিনেমাটিকে আধুনিক বাংলা সিনেমার আরেকটি প্রতীকী হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এ তো গেলো সেলিব্রেটিদের কথা। দর্শকদের অনুভূতিও ছুঁয়ে গেছে স্বপ্নজাল। দীর্ঘদিন সিনেমা না দেখা অনেক দর্শক হলমুখী হয়েছেন কেবলমাত্র স্বপ্নজালের টানে। সিনেমা শেষে জানিয়েছেন স্বপ্নজালে ডুবে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। মধুমিতা, বলাকা সিনেমা হলে সিনেমাটি দেখা দর্শকদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন নিজেদের পরিতৃপ্তির কথা। তাই মিশ্র কিছু প্রতিক্রিয়া থাকা সত্ত্বেও বলা চলে, যে আশায় মানুষ হলে গিয়েছেন তা পূরণ করতে পেরেছে স্বপ্নজাল।

সবার ভালো লাগার সংবাদে আনন্দিত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, ‘ছবিটিতে দর্শকের প্রশংসায় আমি মুগ্ধ। ছবির গল্প নিয়ে দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি, এতে প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে।’