গাজী রাকায়েত ইস্যুঃ অবশেষে উভয়পক্ষের সমঝোতা

273
ছবিঃ সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীকে গাজী রাকায়েত অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠার পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তা টেকেনি। উভয়পক্ষের আপসে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। মামলা তুলে নিবেন উভয়পক্ষ। সোমবার ডিএমপি’র একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ আপস-মীমাংসা হয়।

জানা গেছে, মীমাংসার ওই বৈঠকে গাজী রাকায়েত ও ভুক্তভোগী ওই তরুণী এবং তার বান্ধবী প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন। গাজী রাকায়েতের আদাবর থানায় দায়ের করা ৫৭ ধারার মামলা এবং তরুণী কর্তৃক শ্যামপুর থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক তরুণী ফেসবুক মেসেঞ্জারে গাজী রাকায়েতের সঙ্গে তার এক বান্ধবীর কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায়, গাজী রাকায়েত ওই তরুণীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত ১৬ মার্চ রাজধানীর আদাবর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা (নং ১৮) দায়ের করেন গাজী রাকায়েত।

পরে ওই তরুণী গত ২১ মার্চ শ্যামপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধেও মামলা (নং ২৬) দায়ের করেন।

পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হওয়ার পর উভয়পক্ষের শুভাকাঙ্ক্ষীরা সমাধানের জন্য আলোচনা শুরু করেন। পরে গাজী রাকায়েত এবং ওই দুই নারী একসঙ্গে বসে একটি যৌথ ঘোষণার স্ট্যাম্পে সই করেন।

গাজী রাকায়েত তার ঘোষণায় বলেছেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার অজান্তে কে বা কারা জনৈকা (নাম প্রকাশ করা হলো না) আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো এবং এরপর সেই মেসেজের স্ক্রিনশট তার বান্ধবীর (নাম প্রকাশ করা হলো না) মাধ্যমে ফেসবুকে প্রকাশ করা হলে সংক্ষুব্ধ হয়ে আমি গত ১৬ মার্চ বান্ধবীর (নাম প্রকাশ করা হলো না) বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা করি। পরবর্তীতে জানতে পারি মামলাটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় লিপিবদ্ধ হয়েছে যা কোনোভাবে আমার অভিপ্রায় ছিল না। তাই আমি নিঃশর্তভাবে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ঘোষণা দিলাম।’

অন্যদিকে ওই তরুণী ঘোষণায় বলেন, ‘গাজী রাকায়েত ফেসবুক আইডি থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার ফেসবুক মেসেঞ্জারে আপত্তিকর মেসেজ আসে। উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে সংক্ষুদ্ধ হয়ে আমি আমার বন্ধুকে ফেসবুকে স্ক্রিনশট প্রকাশ করে সত্য অনুসন্ধানের অনুরোধ করি। আমার পক্ষে ফেসবুকে ওই পোস্ট দেয়ায় আমার বন্ধুর বিরুদ্ধে গাজী রাকায়েত হোসেন আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেন।

গত ২২ মার্চ গাজী রাকায়েত ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে আমি শ্যামপুর থানায় মামলা দায়ের করি। যেহেতু গাজী রাকায়েত আমার বন্ধুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছেন যে, গাজী রাকায়েতের ফেসুবক আইডি ঘটনার সময় তার নিয়ন্ত্রণে ছিল না এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তিনি আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন, তাই আমি নিঃশর্তভাবে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ঘোষণা দিলাম।’