ইতিমধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তারকা দম্পতি শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের। চূড়ান্ত শুনানির আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকলেও ফলাফল কি হতে যাচ্ছে তা সবার জানা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আর অল্প কয়েকদিন পর অফিসিয়ালি বিচ্ছেদ হবে এ দম্পতির। শাকিব-অপু ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন। দীর্ঘ দিন পর এ বছরের ১০ এপ্রিল বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে জানান অপু বিশ্বাস। ততদিনে তিনি এক সন্তানের মা। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তখন শাকিব খান বলেছিলেন সন্তানের দায়িত্ব নেবেন তবে অপুর নয়।
কেমন কাটছে বাবাকে ছাড়া পুত্র আব্রামের দিন। অপু জানালেন, ‘গুড মর্নিং’ এই বলে সকালটা শুরু হয় জয়ের। আর সে কথা না শুনে অপুও কখনো ঘর থেকে বের হয় না।‘জয় বাবাকে খোঁজে, অনেকদিন তো তাঁর দেখা নেই। দিনের কোনো না কোনো সময় মাঝে মাঝেই বলে উঠে, পাপা কোথায়, পাপা কোথায়।’
জয় কথা বলা শিখেছে উল্লেখ করে অপু বলেন, পাপা বলাও জয় শাকিবের কাছে শিখেছে। শাকিব কোলে নিয়ে পাপা কি করে কি করে বলতো। জয়ও সেটা রপ্ত করে ফেলেছে। এই যে অনেকদিন ধরে বাবাকে দেখে না, স্বাভাবিকভাবেই তো বাবাকে সে খুঁজবে। আব্রামের বয়স এখন ১৭ মাস। অল্প করে কথা বলা যেমন শিখেছে, তেমনি হাঁটতেও শিখেছে। এর মধ্যে হাতে পেয়েছে একটা ব্যাট। প্ল্যাস্টিকের সে ব্যাট সারাক্ষণ হাতে থাকে। ঘুমের সময়েও সঙ্গী হয় সে ব্যাট। ক্রিকেটার হবে নাকি এমন প্রশ্নে অপু হেসে বললেন ‘নাহ এখন তো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শোবিজে আসছে না আপাতত এটা বলা যায়। সবকিছুর উর্দ্ধে থাকবে ওর পড়াশুনা। আমি চাই ও অনেক অনেক পড়াশুনা করুক। সভ্য হতে যেটা অনেক দরকার।’
অপু আরো জানান কাজের জন্য সন্তানকে বাসায় রেখেই বের হতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন ‘ আমাকে তো আর কেউ বসিয়ে খাওয়াবে না। কাজ আমি আব্রামের জন্যই করি। সংসারের জন্য মায়েদের বের হতে হয়। আর আব্রামও শিখে গেছে। ওকে বলি মা বের হচ্ছি টাটা, ও জিহ্বা বের করে টাটা দেয়।তাছাড়া ওকে দেখাশুনা করার জন্য অনেকেই আছে আমার বাসায়।’
আব্রাম কিন্তু পড়াশুনাও শুরু করেছে। কয়েকটি বাংলা ও ইংরেজি অক্ষর তাঁর এখন মুখস্থ। আগামী ১২ মার্চ সিটি করপোরেশন শাকিব-অপুকে ফের মিমাংসার জন্য ডাকবে।সেদিন দুজনের শেষবারের মতো মীমাংসার সুযোগ থাকবে। তার পরই দুজনের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।
