বাংলাদেশে আমদানি করা ভারতীয় সিনেমা ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ মুক্তি পেয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। ছবিটিতে ঢাকার নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন টলিউডের জিৎ। প্রথম সপ্তাহে তেমন একটা ভালো চলেনি সিনেমাটি। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় সপ্তাহে আরো বেশি হলে মুক্তি পায়।
এ প্রসঙ্গে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘যেভাবে আশা করেছিলাম সেভাবে চলেনি। তবে মোটামুটি ভালোই চলেছে। প্রথম সপ্তাহে হলগুলোতে একেবারেই দর্শক ছিল না, তেমন তা না। আমরা দেখেছি মোটামুটি দর্শক ছিল। এরপর হল বাড়লে কিছুটা লাভবান হয়েছি। আমরা বছরে যে কয়েকটি ছবি মুক্তি দিই, তার সবকটিতেই টাকা উঠে আসে।’
এদিকে হল মালিকরা জানান, জিতের সিনেমা হিসেবে ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এ নিয়ে তিনি বলেন, “আয়নাবাজি’ আর ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছাড়া কোন ছবিই হলমুখী করতে পারেনি দর্শকদের। তবে ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য না পেলেও ভালোই ফলাফল পেয়েছি। আমাদের টাকা উঠেছে।”
খোকন জানান, বর্তমানে জাজ নতুন কোন সিনেমা করছে না। তার ভাষ্যে— ‘যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা যেভাবে তৈরি হয়েছে তাতে আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব না। ইতোমধ্যে আমাদের চেয়ারম্যান (আব্দুর আজিজ) সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।’
সম্প্রতি আব্দুর আজিজ জানিয়েছেন, জাজ আর বাংলাদেশে সিনেমা নির্মাণ করবে না। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটির নতুন অফিস চালু হবে কলকাতা।
খোকন বলেন, ‘আমরা এতদিনে যৌথ সিনেমা করেছি। এরপর যখন সরকার যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা তৈরি করল সেখানে থাকল জায়েদ খান ও ফারুক। ফারুক কী বুঝেন, তিনি কি একটি সিনেমাও করেছেন যৌথ প্রযোজনার নীতিমালায়। কমিটির কেউ যৌথ প্রযোজনার নীতিমালায় ছবি করেননি। তাহলে কীভাবে বুঝবে নীতিমালার সমস্যা।’
মধুমতি হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ কয়েকদিন আগে জানান, তার হলে একটি সিনেমা একদিনে আয় করেছে মাত্র ১২শ’ টাকা। প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে খোকন বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার নীতিমালায় যারা আছে তারা কী চায় সহজে বুঝা যায়। তারা চায় হল বন্ধ হোক আর তারাই লুটেপুটে খাবে।’