শাকিব খানের পাঠানো ডিভোর্স নোটিস এখনো হাতে না পেলেও অপু বিশ্বাস আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে বলেন, ডিভোর্স নোটিসটি পাবার পরে আমি একজন আইনজীবির পরামর্শ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করব। সেখানে সাংবাদিকদের নিজের কিছু কথা জানাতে চাই। এদিকে ডিভোর্স লেটারে শাকিব-অপুর বিয়ের কাবিনে দেনমোহর শুধু ৭ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্ত এ ব্যাপারে অপু বললেন ভিন্ন কথা, অপু বলেন, আমাদের বিয়ের কাবিননামায় টাকার অংক(দেনমোহর বাবদ) উল্লেখ আছে ১ কোটি ৭ লাখ। এটাকে কেউ যেন বিভ্রান্ত না করে। সবশেষে অপু বলেন, শাকিব এভাবে ডিভোর্স নোটিস বাসাতে পাঠিয়ে জলঘোলা না করে নিজে সুন্দরভাবে আমার সঙ্গে কথা বলে সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে জানিয়ে দিতে পারত।
অর্থাৎ অপুর কথা অনুযায়ী ডিভোর্স লেটারে দেনমোহরের মিথ্যা অথই দেয়া হয়েছে। যদি অপু বিশ্বাসের দাবি সত্য হয়ে থাকে তবে শাকিব খানকে ৭ লক্ষ নয় ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে ।
উল্লেখ্য, ভারতের হায়দরাবাদের রামুজি ফিল্ম সিটিতে ‘নোলক’ ছবির শুটিং করছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সেখানে যাওয়ার আগে গত ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে পাঠানো তালাকের নোটিশে তিনি স্বাক্ষর করেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় অপু জানিয়েছেন, তিনি তখন পর্যন্ত তালাকের নোটিশ হাতে পাননি। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘দুপুরে আমি বাবুকে (আব্রাম খান) খাওয়াচ্ছিলাম। হঠাৎ টেলিভিশনের স্ক্রলে খবরটি আমার নজরে আসে। এরপর মুঠোফোনে পরিচিতজনের কয়েকটি খুদে বার্তাও পেয়েছি। বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে।’
তালাকের নোটিশ পাঠানোর বিষয়টা অপুর কাছে এখনো অবিশ্বাস্য। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। গত মাসে ছেলেকে রেখে চিকিত্সা নিতে ভারতে যাওয়ার কারণে শাকিব খানের সঙ্গে আমার ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় সে হয়তো রাগ হয়ে কিছু একটা করে থাকতে পারে। কিন্তু তার কয়েক দিনের মাথায় আমার সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর এখন পর্যন্ত তা রয়েছে।’
ভুল বোঝাবুঝির ঘটনার কয়েক দিন পর অপু ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাসায় যান। অপু বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে অনেক আন্তরিকভাবেই কথা হয়েছে। বাবু (আব্রাম খান) তার বাবার (শাকিব) সঙ্গে রাতে ঘুমিয়েছে। তখন শাকিবকে একজন দায়িত্ববান বাবা মনে হয়েছে আমার কাছে। মূলত তখন থেকেই স্ত্রী-সন্তানের প্রতি শাকিবের মধ্যে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখেছি। এখন এসব খবর তো আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।’