পদ্মাবতী সিনেমাটি নিয়ে শুটিং এর ঢাক গুড়গুড় আর আলোচনা -সমালোচনার অন্ত ছিল না। রাজপুত করনি সেনাদের শাসানি আর ভাঙচুরে জেরবার হয়ে গিয়েছিলেন ‘পদ্মাবতী’ ছবির নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি। করনি সেনাদের তাঁদের দাবি, এই সিনেমা তাঁদের না দেখিয়ে মুক্তি দেওয়া চলবে না। রাজস্থানের কট্টরপন্থী এই রাজনৈতিক সংগঠনের আশঙ্কা, ছবিতে রানি পদ্মাবতীকে হেয় করা হয়েছে। আর এ জন্য তাঁরা ছবিটি আগে নিজেরা দেখে এরপর মুক্তি দেওয়ার ‘অনুমতি’ দিতে চান।
ছবি মুক্তির স্বার্থে নাকি পরিচালককে ছবির কিছু দৃশ্য কাটছাঁট করতে হতে পারে। শোনা গিয়েছিল, করনি সেনাসদস্যদের চাপের মুখে পড়ে এই প্রস্তাবে বানসালি নাকি রাজি হয়েছেন। সম্প্রতি খবর এসেছে, নির্মাতা আসলেই তাঁর এই সিনেমা থেকে কিছু দৃশ্য বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে তা করনি সেনাসদস্যদের ইচ্ছায় নয়। বানসালি এবার নিজে থেকেই তাঁর ছবির ওপর কাঁচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সঞ্জয় লীলা বানসালিসঞ্জয় লীলা বানসালির ছবিগুলোর দৈর্ঘ্য সাধারণত একটু বড় হয়। কিন্তু ‘পদ্মাবতী’ তাঁর আগের সব ছবির দৈর্ঘ্যকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুটিংয়ের শেষ পর্যায়ে এসে দেখা গেল, এই সিনেমা ২১০ মিনিটে এসে ঠেকছে। সাড়ে তিন ঘণ্টার ছবি দেখতে দেখতে দর্শক ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে, এই ভেবে ছবির কিছু দৃশ্য ছেঁটে ছোট করার পরিকল্পনা করছেন বানসালি। কিন্তু এখানে কিছু ঝামেলাও আছে। ছবির তিন প্রধান শিল্পী দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং ও শহীদ কাপুর সবাইকেই বানসালি সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখানে কারও দৃশ্য কমবেশি হওয়া নিয়ে মন-কষাকষি হোক, এটা তিনি চান না। তাই ছবি থেকে দৃশ্য বাদ দেওয়ার কাজটি পরিচালককে করতে হচ্ছে খুব ভেবেচিন্তে।
আরেকটি সূত্র বলছে, এত কিছু ভাবার সময় নেই বানসালির। যেভাবে ছবি সম্পাদনা করলে সবচেয়ে ভালো হবে, তিনি সেভাবেই করবেন। এতে হয়তো কোনো শিল্পীর কিছু দৃশ্য বাদ দিতে হবে। ছবির প্রতিটি বিষয় নিয়ে বানসালি কী পরিমাণ খুঁতখুঁতে, তা তো অল্পবিস্তর সবাই জানেন। ‘পদ্মাবতী’ ছবিতে রণবীরের একটি গানের শুটিংয়ে নাচের একেকটি ধাপ কোরিওগ্রাফার দ্বিতীয় শটে ‘ওকে’ করে দিলেও বানসালি নাকি প্রতিটি দৃশ্য নায়ককে দিয়ে অন্তত ১০ বার করিয়ে মনের মতো শট পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা এসব বিষয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত। রণবীরের গানটি ছবি মুক্তির একদম আগে মুক্তি দেবেন বলে ঠিক করেছেন সঞ্জয় লীলা বানসালি। ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি পাবে আগামী ১ ডিসেম্বর।