এই বছরের ১২ই মে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সংগীতশিল্পী মিলা। বিয়ের আগে তাদের প্রেম ছিল প্রায় ১০ বছর। কিন্তু বিয়ের পরই স্বামীর সঙ্গে একাধিক মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তিনি। তাই এই পপ তারকা বিয়ের পর পাঁচ মাস পার না হতেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন।
মিলা তার স্বামীর সঙ্গে বিমানবালার অবৈধ সম্পর্ক থাকার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। সেই বিমানবালার নাম জান্নাত আরা। কিছুদিন আগে মিলা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জান্নাতের সঙ্গে সানজারির একটি ছবি ও ম্যাসেঞ্জারের কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন। তবে এবার ফাঁস হলো জান্নাত-সানজারির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবি। মিলা সানজারিকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন।
সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, ‘১০ বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর আমরা বিয়ে করেছিলাম কিন্তু বিয়ের ১৩ দিন পর আমি জানতে পেয়েছি তাঁর একটা নয় একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। যখন আমরা একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতাম তখন সে নিয়মিত আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং সে বিয়ের পরও প্রতারণা করেছে। অসংখ্য মেয়ের সাথে সে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে।’
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে কেমন চেষ্টা করেছিলেন মিলা সেই ব্যাপারটি তুলে ধরে তিনি লিখেছিলেন, ‘তারপরও আমি বিয়ে টিকিয়ে রাখার অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সে আমার সঙ্গে অতিরিক্ত অশালীন আচরণ শুরু করেছিল এবং বিয়ে মানতে পারছিল না। নিজে থেকে অনেক চেষ্টা করেছি আমি। পরবর্তী সময়ে আমি এসব বিষয় নিয়ে ইউএস বাংলার এয়ারলাইনের এমডি এম আর মামুনের সঙ্গে কথা বলি এবং তাঁকে জানাই আমার সাথে কী হচ্ছে। এটা তাঁকে বলেছি কারণ তিনি আমার স্বামীকে বুঝাতে পারবেন যে আমাদের সামাজিক মর্যাদা আছে এবং এটা লজ্জাজনক কিছু ঘটনার কারণে নষ্ট করার মানে হয় না। এমডি আমাকে বলেছিলেন, তিনি আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং যে বিমানবালার সঙ্গে আমার স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক আছে তাঁর নাম জানতে চাইবেন। তিনি আমাকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন।’
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ৫ অক্টোবর স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে মামলা করেন মিলা। মামলার পরপরই গ্রেফতার হন সানজির। সম্প্রতি দুইবারের চেষ্টাতেও জামিন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাই হাজতেই থাকতে হচ্ছে তাকে।