অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি : মিশা সওদাগর

462

ঢাকাই চলচ্চিত্রের খলনায়ক প্রসঙ্গ আসলেই সবার আগে যার নাম আসে তিনি মিশা সওদাগর। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান এই সভাপতি অভিনয় শুরু করেন ১৯৮৬ সালে, ছবির নাম চেতনা। এরপর অভিনয় করেছেন আট শতাধিক ছবিতে। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার। সম্প্রতি তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি অনেক ভেবেচিন্তে কথাগুলো বলছি। চলচ্চিত্রে অনেক দিন তো হলো, এবার নিজের জন্য একটু সময় দিতে চাই। মহরত, শুটিং, ডাবিং, প্রিমিয়ার—এসব করেই তো জীবনের অনেকটা সময় পার করে দিয়েছি। একটা ব্যাপার ইদানীং আমার মধ্যে খুব কাজ করছে—আমি টাকার জন্য বাঁচতে চাই না, নিজের জন্য বাঁচতে চাই’।

অভিনয় থেকে অবসরের পর কী করবেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি। সংগঠনে পর্যাপ্ত সময় দেব। চলচ্চিত্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করব। নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবব। তবে হাতে কয়েকটি ছবি আছে। এ বছর এগুলোর কাজ শেষ করব। এরপর বিশ্রাম। আগামী বছর অন্য কিছু করার কথা ভাবছি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আমার খুব পছন্দের একটি কাজ। হয়তো এই কাজও করতে পারি’।

চলচ্চিত্রের সঙ্গে  এত দিনের সম্পর্ক থেকে এত দ্রুত নিজেকে সরিয়ে নিতে পারবেন কিনা সেই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করব। আর আমি নিজেও হাঁপিয়ে উঠেছি। একই ধরনের চরিত্র, প্রায় একই ধরনের সংলাপ। আর কত! কোনো বৈচিত্র্য নেই। বৈচিত্র্যহীন কাজ করতে আর চাই না। চলচ্চিত্রকে আর পেশা হিসেবে দেখব না। যদি আমার বয়স আর সময় বুঝে কেউ তেমন কোনো চরিত্র নিয়ে আসে, আর তা যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে তেমন কাজ হয়তো মাঝে মাঝে করব। কিন্তু পেশা হিসেবে আর নয়’।

তবে চলচ্চিত্রে কারও সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয় নি তার। তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে আমার কোনো বৈরিতা নেই। এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আমি চাই আমার জায়গায় অন্য কেউ আসুক। আমি যদি আসন পেতে বসে থাকি, তাহলে নতুন কেউ এখানে আসার জায়গা পাবে না। তাদের জন্যও জায়গা ছাড়তে হবে’।

মিশা সওদাগর এর  স্ত্রী শিক্ষকতা করছে। বড় ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। ছোট ছেলে ক্লাস ফোরে পড়ছে।