দ্বিতীয় সংসারও কি ভেঙ্গে যাচ্ছে শ্রাবন্তীর!

406

টলিউডের প্রথম সারির অন্যতম নায়িকা শ্রাবন্তীকে ঘিরে গত ১মাস ধরে শোনা যাচ্ছে তার স্বামীর সাথে তার ঠান্ডা সম্পর্কের কথা। টলিউডের সবাই জানে যেকোনো সম্পর্কে শ্রাবন্তী নিজেকে বড় বেশি উজাড় করে দেন। পরিচালক রাজীবের সঙ্গে বিয়ের পর পাঁচ বছর আর সিনেমা করেননি তিনি। কৃষেণের সঙ্গে বিয়ের পর কীভাবে তাকে নিয়ে ছবি বানানো যায় সেজন্য প্রচুর খেটেছেন তিনি, নিজের তারকা জীবন অগ্রাহ্য করে। বারবার চেষ্টা করেছেন সুপার মডেল স্বামীকে কীভাবে লঞ্চ করানো যায় বাংলা সিনেমা।

প্রায় দু’মাস আগে থেকেই শ্রাবন্তীর বর, সুপারমডেল কৃষেণ, শ্রাবন্তী বা শ্রাবন্তীর ছেলে ঝিনুকের সঙ্গে ছবি আপলোড না করে নিজের লোকজনের সঙ্গে ছবি আপলোড করা শুরু করেন। প্রথম দিকে কেউ পাত্তা দেননি। কিন্তু যখন ব্যাপারটা প্রায় রোজকার ঘটনাতে গিয়ে পরিণত হয়, তখন প্রথম ভ্রু কুঁচকানো শুরু হয় ইন্ডাস্ট্রিতে।

শ্রাবন্তী তার স্বামী কৃষেনকে লঞ্চ করার জন্য প্রযোজক অশোক এবং হিমাংশু ধানুকার সঙ্গে একটা মিটিং করে একটা ছবিও অ্যানাউন্স করেন, যেখানে হিরো-হিরোইন হিসেবে অভিনয় করার কথা ছিল তাদের দু’জনের। যে ছবিটা তারা একসঙ্গে করবেন বলে ঠিক করেছেন সেই ছবির অর্ধেক ফান্ডিং(টাকা) জোগাড় করার কথা ছিল কৃষেণের। তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেছে, সেই টাকা জোগাড় করতে অক্ষম হন কৃষেণ। তখন শ্রাবন্তী নিজে চেষ্টা করেন। তারপর তাদের দু’জনের মধ্যে কী হয়েছে সেটা ধোঁয়াশা। এর কিছুদিন পর থেকে তারা আলাদা আলাদা থাকতে শুরু করেন। শ্রাবন্তী থাকছেন তার বাবা মা ও ছেলের সঙ্গে। কৃষেণ নিজের পরিবারের সঙ্গে।

এমনকি শ্রাবন্তীর জন্মদিনেও কৃষেণকে না দেখে অনেকেই যথেষ্ট আশ্চর্য হন। তাদের মধ্যে ডিভোর্স হচ্ছে কিনা সেই প্রসঙ্গে কৃষেন বলেন, ‘কিছু সমস্যা হয়েছিল। আমরা ঠিক করে নিয়েছি কথা বলে। ফেসবুকে কেন আমি আমার পরিবারের সঙ্গে ছবি দিচ্ছি, শ্রাবন্তীর সঙ্গে নয়, এই নিয়ে যদি কিছু মানুষ দুইয়ে দুইয়ে পাঁচ করেন সেটা তাদের সমস্যা। আমাদের নয়। আমরা বিচ্ছেদ করছি খবরটা একেবারে মিথ্যে’।

একই প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমাকে এর আগেও ফোন করেছিলেন, আমি তখনও এই বিষয়ে কথা বলতে চাইনি। আমি বুঝতে পারছি না কে বা কারা আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এতটা আগ্রহী? আমরা তারকা বলে কি আমাদের কোনও ব্যক্তিগত জীবন নেই? প্রেস তো শুধু খবর করেই খালাস। তারপর আমাদের ফ্যামিলি আছে, আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেগুলো যখন আহত হবে, তখন কি প্রেস কিছু করবে আমাদের জন্য? আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতেই চাই না। এখন মন দিয়ে কাজ করছি, তার মধ্যেও এই নতুন একটা ঝামেলা ইচ্ছাকৃত শুরু করা হচ্ছে আমাকে নিয়ে’।

এমন সংকটজনক অবস্থা থেকে ইন্ডাস্ট্রির অনেক বিবাহিত জীবন ফেরত এসেছে। সেই হিসেবে তারাও খুব শিগ্রই আবার আগের মত একসাথে থাকবেন বলে অনেকেই আশাবাদী।