তবে কি শ্রীদেবীর মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত নয়! StarGolpo.com

184
ছবি সংগৃহীত

শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে শুরু থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল রহস্যের ধোঁয়াশা। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘিরে ধরে চাঁদনির শেষযাত্রা। ফলে তা যতটা মসৃণ হওয়ার কথা ছিল, ততটা হতে পারেনি।

প্রথমত, স্বামী-মেয়ে ফিরে আসার পরও দুদিন দুবাইয়ের হোটেলে ছিলেন অভিনেত্রী। যদিও তিনি কী কারণে ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। এদিকে শ্রীদেবীকে সারপ্রাইজ দিতেই নাকি ফের দুবাই যান বনি। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আধ ঘণ্টা কথাবার্তাও হয়। তারপরই গোসল করতে যান শ্রীদেবী। বেশ খানিকক্ষণ বাথরুম থেকে না বেরনোয় সন্দেহ হয় বনির। পরে অভিনেত্রীর সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। এরও বেশ কিছুক্ষণ পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কেন এত দেরি করে পুলিশকে খবর দেওয়া হল সে প্রশ্নও উঠছে। এই প্রশ্নের মধ্যেই মৃত্যুর কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিচ্ছিল। আজ ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় জানা যায়, পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। যে সময় তাঁর মৃত্যু হয়, তাঁর রক্তে অ্যালকোহলও পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ মদ্যপ অবস্থাতেই বাথটবে পড়ে তাঁর মৃত্যু। সামান্য উচ্চতার একটা বাথটাব। জল ভরলেও উচ্চতা দেড় ফুটের বেশি হবে না! তাতে কী করে ডুবে গেলেন পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার ওই অভিনেত্রী! অনেকের মনেই প্রশ্নটা ঘুরছে। দুবাই পুলিশ জানিয়েছে, অচৈতন্য অবস্থায় জলে ডুবে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু, অচৈতন্য হলেন কী ভাবে? সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে গত দু’দিন ধরে বলা ‘হার্ট অ্যাটাক’ শব্দটাও উধাও হয়ে গিয়েছে এ দিনের আলোচনা থেকে। তা হলে কি হার্ট অ্যাটাক হয়নি?

তাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ভারতের সমাজবাদী পার্টির নেতা অমর সিংয়ের দাবি, শ্রীদেবী মদ্যপান করতেন না। আনুষ্ঠান ইত্যাদির ক্ষেত্রে ওয়াইন খেতেন বড়জোর। তাঁর এই দাবিতে ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে। তাহলে অভিনেত্রীকে জোর করে কেউ মদ্যপান করিয়েছিলেন। যিনি জানতেন যে মদ্যপানের অভ্যাস না থাকায় বিপদে পড়তে পারতেন শ্রীদেবী। কিন্তু জেনেশুনে অভিনেত্রীকে কে বিপদের মুখে ঠেলে দিল?

অন্য একটা সূত্র বলছে, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ রুম সার্ভিসে ফোন করে তাঁর ঘরে জল দিতে বলেছিলেন শ্রীদেবী। মিনিট ১৫ পর হোটেলের এক কর্মী শ্রীদেবীর ঘরে জল দিতে গিয়ে তাঁর কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না। একাধিক বার ডোর বেল বাজানোর পর যখন দরজা খোলেননি শ্রীদেবী, তখন হোটেল কর্তৃপক্ষ ভিতর থেকে বন্ধ থাকা দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, শ্রীদেবী বাথটাবে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তা হলে বনি সেই সময় কোথায় ছিলেন?

তবে, শ্রীদেবীর ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট হাতে আসার পর দুবাই পুলিশ গোটা ঘটনাটাই সরকারি কৌঁসুলির হাতে সমর্পণ করেছে। তিনি অনেকগুলি দিক খতিয়ে দেখেই তবে সিদ্ধান্ত নেবেন, শ্রীদেবীর দেহ ভারতে কবে পাঠানো সম্ভব! শোনা যাচ্ছে বনি কপূরকে দুবাই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই হোটেলেও গিয়েছে তারা। সিল করে দিয়েছে শ্রীদেবীর সেই ঘর।