চেয়েছিলাম অপুর সাথে সুখে শান্তিতে ঘর করতে: শাকিব খান

391
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে শাকিব খানের করা ডিভোর্সের আবেদনের দু’দফা সমঝোতা বৈঠকে ঢালিউড কিং উপস্থিত ছিলেন না। তাই উপস্থিত না থাকায় ভেস্তে গেছে তাদের নতুন করে সংসার গড়ার পথ। এদিকে, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ হবে ডিভোর্স আবেদনের তিন মাস। একই সঙ্গে কার্যকর হবে ডিভোর্স।

এ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘সহ্যের সীমা আছে, তার জন্য কী করিনি, সে আমাকে স্বামী হিসেবে কখনো মানেনি চেয়েছিলাম সুখে শান্তিতে ঘর করতে। তারপরেও সে নানাভাবে আমাকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ১০ এপ্রিল আমার বিরুদ্ধে আমার সন্তানকে নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে যাওয়া কি তার উচিত ছিল? তারপরেও আমি তার ও আমার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’

শাকিব খান বলেন, ‘১০ এপ্রিলের ঘটনার পরেও নিয়মিত তার বাসায় যেতাম, তার ও আমাদের সন্তানের খোঁজখবর নিতাম। মাসে যা ভরণ-পোষণ দরকার সবই দিচ্ছি। এত কিছুর পরেও সে কখনো আমাকে ঘিরে তার করা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য একবারও সরি বলেনি। সে শুধু আমাকেই অপমান করেনি। আমার বাবা-মাকেও অসম্মান করেছে। সে যদি একবার সবার সামনে এর জন্য ক্ষমা চাইত আমি অবশ্যই সব ভুলে গিয়ে আবার ঘর সংসার শুরু করতাম।’

শাকিব আরো বলেন, ‘এরপর আবার সে আমার বাচ্চাকে বাসায় কাজের মানুষের কাছে রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে দেশের বাইরে চলে যায়। এমন খবরে সন্তানের জন্য চরম উৎকণ্ঠিত হয়ে দেশে এসে সন্তানকে উদ্ধারে নিকেতনে তার বাসায় ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম, দরজায় তালা দিয়ে অপু চাবি নিয়ে চলে গেছে। এরপর বাবা হিসেবে আমি কেমন মানসিক যাতনায় ছিলাম তা কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’

এছাড়া তিনি বলেন, ‘এরপরও কিছু বলিনি। অপু ফিরে এসে এর জন্য আমার কাছে ক্ষমা তো চায়নি বরং আমার বিরুদ্ধে আবার বিষোদগার শুরু করে। এই অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দেওয়া ছাড়া আমার আর কোনো পথ ছিল না। ২২ নভেম্বর বাধ্য হয়ে আইনজীবী মারফত ডিভোর্স লেটার পাঠাই।’