১৯ শে জানুয়ারি মুক্তি পেল কলকাতার জিৎ আর বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়ার নতুন ছবি ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’। বস ২ এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার পর স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয় এই জুটির থেকে এক্সপেক্টেশন ছিল অনেক বেশি। প্রথম তিনদিনে দর্শকদের মতামত বলছে এক্সপেক্টেশন সেভাবে পূরন হয়নি।
টলিউডে পুলিশ ইনস্পেক্টরদের নিয়ে ছবি তৈরি নতুন কিছু না। ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ সেই নতুন মোড়কে পুরোনো পন্য। কাহিনীর দুর্বলতা, ফান আর রোমানস্ পার্ট কোনটাই তেমন জমে নি, বাজে এডিটিং সব মিলিয়ে এক্সপেক্টেশন লেভেল পূরন হয়নি একেবারেই ।
পুরো ছবিটাই ছিল সাদামাটা। ছিলনা তেমন কোন নতুন সারপ্রাইজ। উল্টো ছবি জুড়ে এত অসঙ্গতি যা বিরক্তিই জাগিয়েছে প্রক্ষাগৃহে। বিশেষত, ইতালির পুলিশ যেখানে চোরের স্বীকারোক্তি আদায় করতে ব্যর্থ, সেই সময়ে নায়কের লাঠির ঘায়ে চোরের দোষ স্বীকার একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পরে গেল বৈ কি। তবে আউটলুকের দিক দিয়ে সিনেমায় জিৎ-ফারিয়া দুজনের গেটাপই বেশ ভালো ছিল। গানের লোকেশন সিলেকশনও ছিল ভালো। কিন্ত দুজনের কেমেস্ট্রি খুব একটা জমেনি। আর মিউজিকও তেমন ভালো ছিল না।
গল্পে দেখা যায় , চমকাইতলার নটবর ওরফে নটি (জিৎ)কে পুলিশ ইন্সপেক্টর হওয়ার জন্য নেশায় পেয়ে বসেছে। শর্তমতো সে পাড়ি দেয় ইতালিতে। সেখানে সামীরার প্রেমে পড়ে নটি। তবে সমীরা মোটেই পছন্দ করে না নটিকে, ইনফ্যাক্ট সামিরার বাঙালি ছেলেদেরই ভালোলাগেনা। সে ভালবাসে অন্য একজনকে। তবে চিরাচরিত ছক মেনেই কান্না -হাসির মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত নায়ক-নায়িকার মিলন হয়। পুরো সময় জুড়ে জিৎ ফারিয়া অনেক হাসাহাসি -নাচানাচি করলেও তারা গল্পের দুর্বলতা ঢাকতে ব্যর্থ। বিশেষত, কিছু ক্ষেত্রে জিতের কমেডি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি ফারিয়ার অভিনয়ও যথেষ্ট দুর্বল।
আমরা এই মুভিকে দিয়েছি দশে চার। তাহলে তো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, জিৎ কি দিনশেষে তার বিশাল ফ্যানবেইজকে খুশি করতে পারলো?