এ বছর জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমার ক্যারিয়ারের দুই দশক পূর্ণ হলো। ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রথমবার নায়িকা হিসিবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। ১৯৯৮ সালের ১৫ মে ছবিটি মুক্তি পায়।
যদিও নায়িকা হবার আগেই তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন শিশু শিল্পী হিসেবে। ছবির নাম ছিল ‘শত্রু ঘায়েল’। সে ছবির শেষ দৃশ্যে চিত্রনায়ক রুবেলের কোলে উঠেছিলেন পূর্ণিমা। আর এই রুবেলের সাথেই পূর্ণিমা পেয়েছিলেন নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম হিট ছবি ‘যোদ্ধা’।
মাছরাঙা টেলিভিশনের ঈদুল আজহার অনুষ্ঠান ‘স্টার নাইট’-এর অতিথি হিসেবে এসে এসব কথা জানান পূর্ণিমা। সম্প্রতি অনুষ্ঠানটির রেকর্ডিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। রুম্মান রশীদ খানের গ্রন্থনা ও অজয় পোদ্দারের প্রযোজনায় ‘স্টার নাইট’ উপস্থাপনা করেছেন মারিয়া নূর।
এ অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা বলেন, একসময় তিনি মৌসুমী, শাবনূর, সালমান শাহের ভিউকার্ড জমাতেন। যে কারণে শাবনূর-রিয়াজ জুটিকে পূর্ণিমা-রিয়াজ জুটির চেয়ে এগিয়ে রাখেন তিনি। পূর্ণিমা প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, আবার কখনো নায়ক মান্নাকে ফিরে পেলে জড়িয়ে ধরে কাঁদবেন। আর অনুরোধ করবেন, আর যাতে কখনো মান্না দূর আকাশে হারিয়ে না যান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পূর্ণিমা সালমান শাহ-মৌসুমীকে নিয়ে আরো বলেছিলেন,” বাংলাদেশ এ জুটি প্রথা একটা আছে। সবচেয়ে প্রিয় জুটি হচ্ছে সালমান শাহ – মওসুমি। আমি তাদের ছবি দেখতে গিয়েছিলাম কেয়ামত থেকে কেয়ামত। আর সালমান শাহ কে সামনা সামনি দেখতে পারাটাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমার সে সৈভাগ্য হয়েছে যে আমি তাকে দেখতে পেরেছি। আমি শিশুশিল্পী ছিলাম একটা ছবিতে, তখন সালমান শাহ এসেছিলেন আমাদের সেটে, জাস্ট ঘুরে গেছেন। তো ওই আমার স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল । ইটা আমার জন্য অনেক বড় একটা মজার স্মৃতি ।”