সালমান শাহ ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকেই মুখ খুললেও, মুখ খুলেননি সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক। সম্প্রতি এক অনলাইন নিউজ পোর্টালে মুঠোফোনে কথা বললেও টিভি ক্যামেরার সামনে আপাতত আসতে চান না সামিরা। পিবিআই এর রিপোর্ট আসার পরই ক্যামেরার সামনে কথা বলবেন তিনি। তবে মুঠো ফোনে সময় টেলিভিশনের সাথে নায়ক সালমান শাহের মৃত্যু এবং নায়ক সালমান শাহকে নিয়ে কথা বললেন সামিরা।
কেন মিডিয়ার সামনে আসেননি, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ইমনকে নিয়ে কোন নেগেটিভ স্টেইটমেন্ট দিতে চাই না । নট বিকজ অফ আমি সালমান শাহের ফ্যানদেরকে ভয় পাই বা কিছু । নো, বিকজ আমি আমার হাজবেন্ড, যে নাই, তাকে নিয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। যেটা ওকে ছোট করবে। মানুষ জানতে চাইলেই হবে না। এটা পুলিশের ব্যাপার। এটা ইনভেস্টিগেশ ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার আছে। এখানে ল্যিগাল কিছু টার্মস আছে। এখানে আমি জাস্ট ফাট করে একটা কথা বলবো আর মানুষ ঝাঁপিয়ে উঠবে। আমি ভালো বললেও মানুষ আমাকে খারাপ বলছে , আমি খারাপ বললেও মানুষ আমাকে খারাপ বলছে। মানুষ তো আমাকে সুযোগই দিচ্ছেনা কথা বলার। ইমনের চার বছরে ও খুব খুশিও ছিল। আমার সাথে ভালো ছিল। কোনদিনও সুইসাইডের এটেম্পট করেনি। আমার বিয়ের আগে চারবার এটেম্পট নিয়েছে এবং সে যেটা করেছে সেটা যদি আমি বুঝতে পারতাম তাহলে নিশ্চই ফার্স্ট অফ অল আমি এটা হতে দিতাম না। সেকেন্ডলি আমি বাসায় থাকতাম না , যদি আমার ভয় থাকতো নিজের জানের। আমিও কিন্ত সুষ্ঠ তদন্ত চাই, আমি চাই যে এফবিআই পারলে আসুক। যেটা যে দিক দিয়ে যেভাবে সম্ভব। সালমান শাহ ইজ সালমান শাহ, হি ইজ লার্জার দেন লাইফ। ওর সাথে তুলনায় নাই কোন একটর এর । হবেও না বাংলাদেশে আর কোন দিন । ইমনের এক্টিং স্কিল কিন্ত সাংঘাতিক অন্য লেভেলের ছিল । ইন্ডিয়ান এক্টরদের মধ্যেও খুব কম দেখা যাবে।’
কেন সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন এই প্রশ্নের উত্তরে সামিরা বলেন, ‘ নীলা চৌধুরীর সাথে তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তখন। কারন সে ইলেকশন করতে চাচ্ছিল আর ইমন এটা কোনভাবেই চাচ্ছিল না । এটা মা আর ছেলের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব ছিল। এক: সেটা সে কষ্ট পেত খুব। সেকেন্ড ছিল তার ওই যে ডিরেক্টর এসোসিয়েশন, প্রডিউসার এসোসিয়েশনে একটু দেরিতে যাওয়া, ঝগড়া করাতে, একটু রাগ যাওয়াতে কিছু জবাব দিল। সেখানে সে দুইবারই বয়কট হলো দুই জায়গায়। গো ব্যাক টু ১৯৯৬ ,তারপর শাবনূরকে নিয়ে একটা বড় ইস্যু ছিল তখন। শাবনূরকে নিয়ে খুব লেখালেখি হচ্ছিল তখন, ওকে নিয়ে। আমিও বিশ্বাস করেছিলাম। আমারও বিশ্বাস করার মত কিছু কারন ছিল।
সালমানের ভক্তদের নিয়ে সামিরা বলেন, ” ও যদি বুঝতো ওর কত ভক্ত, তাহলে ও চিন্তা করতো দুইবার। ওর জন্য সব ক্রেজ ছিল, সব কিছু ছিল। ও কিন্তু বুঝতে পারতো না। তখন তো এত বেশি মিডিয়া বা ফেসবুক ছিল না যে ওর কাছে ভক্তরা পৌঁছতে পারতো। এত সহজে ও বুঝতে পারে নি। ও মারা যাবার পর যে জিনিসটা হলো, যেদিন ইমন চলে গেল ছয় তারিখে তখন না মানুষ যেভাবে কান্না করলো সেটা আমি দেখলাম, ইমন তো দেখলো না। ”
রুবি সুলতানার ব্যাপারে তিনি বলেন,” রুবি সুলতানা এবং ভিকি দুজনকেই বাংলাদেশের মাটিতে আসতে হবে এবং এভিডেন্স দিয়ে প্রমান করতে হবে যে সামিরা সে পোটলাটা দিয়েছে । কারন সামিরার দাবি সামিরা সে পোটলাটা দেননি। এটা আত্মহত্যা, আত্মহত্যা, আত্মহত্যা। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করলাম পুরো বাংলাদেশকে।
সম্প্রতি রুবি সুলতানা নামের একজন আমেরিকা প্রবাসী কিছু ভিডিও বার্তা ছাড়ার পর ২১ বছর আগে সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘটনা আবারো চাঞ্চল্য তৈরী করে।