অবশেষে মুখ খুললেন সামিরা

6383

সালমান শাহ- এমন একজন নায়ক ছিলেন তিনি যে কিনা মাত্র ৪ বছরে তার ক্যারিয়ারের শীর্ষে উঠেছিলেন। মাত্র ২৭ টি ছবি করে জয় করে নিয়েছিলেন পুরো দেশের মন। তার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে ২১ বছর ধরে সালমানের পরিবার সামিরা ও তার পরিবারকে দায়ী করে আসছে। সম্প্রতি রুবি নামের একজনের বেশ কয়েকটি ভিডিও বার্তার জন্য এ বিষয়টি আবারো সামনে আসে এবং সামিরার প্রতি অনেকগুলো অভিযোগ উঠে। কিন্তু এই মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ্যে কোথাও মুখ খুলেননি সামিরা ও তার পরিবার। অবশেষে এক গণমাধ্যমে মুখ খুললেন সামিরা। জানালেন, ‘স্বামী মারা যাবার ব্যাপারটি আনন্দের কিছু নয় যে হৈ চৈ করে সেই ঘটনা আমি সবাইকে জানিয়ে বেড়াবো। কতো বয়স ছিলো তখন আমার? ২২ বছর। যে মানুষকে ভালোবেসে সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছিলাম তার মৃত্যু আমার জন্য কোনোভাবেই সহজ বিষয় ছিলো না।

তার উপর বৈধব্যের যন্ত্রণা বুঝে উঠার আগেই আমার উপর অন্যায়ভাবে স্বামী খুনের অপবাদ দেয়া হলো। পুলিশি পাহাড়ায় ছিলাম সারাটা দিন। ইমনের বাবার অনুরোধে তার লাশের সঙ্গেও আমি যেতে পারিনি, শেষ দেখা হয়নি। অনেক অভিমান মনে নিয়েই আমি সবকিছু থেকে নিজেকে আড়ালে নিয়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ এতদিন পর আমেরিকা থেকে রুবি ভিডিও ছেড়ে মনগড়া কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্ত তিনি সালমান খুনের কোনো প্রমাণ দিতে পারছেন না। ইমন ব্যক্তিগতভাবে প্রবল আবেগী ছিলো। মৃত্যুর পরও আবেগ তার পিছু ছাড়েনি। ইমনের পরিবার তার মৃত্যুকে ঘিরে আবেগীয় ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়েছে। সেগুলো বিশ্বাসও করেছে সবাই। নতুন করে রুবিও সেই তালিকায় যোগ দিলেন। সবাই বুঝে ফেলেছেন, ইমনের মৃত্যুকে খুন বলে চালাতে হলে সামিরার নাম নিতে হবে। তবে সেটা মানুষ সহজেই গ্রহণ করবে। হচ্ছেও তাই।

২১ বছর পর নতুন করে এইসব নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথা প্রকাশ হওয়ায় বাধ্য হয়ে মুখ খুললাম। যে পুটলির কথা তিনি বলছেন তার ছেলের হাতে আমি দিয়েছি তার তো কোনো প্রমাণ নেই। কীসের ভিত্তিতে তিনি এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন আমি জানি না। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। যখন মনে যেটা আসছে সেটাই বলছেন। আমি সন্দেহ করি, ইমনের মা ও মামারা রুবিকে হাত করেছে। কয়েক বছর আগে যেমন রিজভী নামের একজনকে রাজসাক্ষী বানিয়েছিলো এটাও তেমন হতে পারে।’

রুবির সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে সামিরা বলেন, ‘রুবি সম্পর্কে আমার মামী হন। তার সঙ্গে ইমনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। আমাকে নিয়ে প্রায় সময়ই ইমন উনার বিউটি পার্লারে যেতেন। উনি ইমনের মায়েরও ভালো বান্ধবী ছিলেন। সব বিষয়ে নাক গলাতেন তিনি। এটা ইমন পছন্দ করতো না।’

উল্লেখ্য, সকল অভিযোগ সামিরার দিকে থাকার পরও সামিরা এতদিন গণমাধ্যমের সামনে আসেননি। সামিরার বাবা ও তার বর্তমান স্বামী তার হয়ে কথা বলছিলেন। অবশেষে তিনি মুখ খুললেন।