যে তিন কারনে ‘অ্যানাবেল: ক্রিয়েশন’ দেখবেন

242

১১ আগস্ট মুক্তি পেলো অতিপ্রাকৃত-ভৌতিক ঘরনার সাড়াজাগানো সিনেমা ‘অ্যানাবেল’এর চতুর্থ কিস্তি ‘অ্যানাবেল: ক্রিয়েশন’। ডেভিড এফ. সানবার্গ পরিচালিত এ সিনেমা দেখে রাতের ঘুম হারাম হয়েছে দর্শকের। এবারে পরিচালক জানালেন, ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্ন থেকেই এ সিনেমার গল্প পেয়েছেন তিনি!

২০১৪ সালে মুক্তি পায় এ সিরিজের প্রথম ছবি ‘অ্যানাবেল’। ছোট্ট পুতুল অ্যানাবেল’এর উপর অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাবে ঘটে যাওয়া নানা ভৌতিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছিলো সিনেমাটি। মুক্তির পরপরই সাড়া ফেলেছে এ ফ্র্যাঞ্জাইজির চতু্র্থ কিস্তি ‘অ্যানাবেল: ক্রিয়েশন’।

ছবিটি দেখার উল্লেখযোগ্য ৩টি কারন হলো:

১.ছবির পুরো সময়টা জুড়েই যেন রহস্য আর ভয়ের ছড়াছড়ি। পর্দার আড়ালে থাকা এক রহস্যময়ী রয়েছেন ছবি জুড়ে। দেওয়ালের পিছনে রয়েছে একটা লুকনো লিফট। এমন প্রচুর রহস্যের উপাদান রয়েছে ছবিতে। যার ফলে কৌতহলী দর্শক চোখ সরাতে পারবেন না।

২. এ ছবি নাকি পরিচালকের স্বপ্নে পাওয়া ছবি।
আইএনএস জানায়, গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ সিনেমার পরিচালক ডেভিড এফ. সানবার্গ বলেন, “ ‘অ্যানাবেল: ক্রিয়েশন’এর ভৌতিক দৃশ্য আমি স্বপ্নে পেয়েছি। আমি এখনও ছোট শিশুদের মতো ঘুমাই আর ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নও দেখি। এ ছবিতে আধিভৌতিক একটি দৃশ্য আছে যা আমি স্বপ্ন থেকে পেয়েছি। স্বপ্নটি দেখার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে তা লিখে রেখেছিলাম। পরে চিত্রনাট্যকার গ্রে ডুবারম্যানকে আমি স্বপ্নের কথা বলি। তিনি এ দৃশ্যটিকে খুব সুন্দরভাবে গল্পে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।”

৩. যে ছবি মুক্তির তিন দিনেই ৭ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার ব্যবসা করে সে ছবি তো দেখায় উচিত ।

পরিচালক আরও বলেন, “অ্যানাবেল পুতুলগুলো দেখতে অনেকটা আমাদের মতোই। মনে হয়ে যেন আমাদেরই এক একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। এ পুতুলগুলোকে দেখলে আরও মনে হবে, এই বুঝি আমাদের মতো কথা বলে উঠবে কিংবা নড়েচড়ে উঠবে। এই চিন্তাটাই দর্শককে ভৌতিক ও অশরীরি একটি অনুভূতি দেয়।”

এক পুতুল প্রস্তুতকারক কোম্পানির মালিক স্যামুয়েল মুলিন্স, তার স্ত্রী এস্থার ও তাদের পাঁচ বছর বয়সী কন্যার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ সিনেমাটি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্টিফেনিয়া সিগম্যান, টালিথা বেটম্যান, অ্যান্টনি লাপাগিলা, মিরান্ডা ওটো প্রমুখ।