নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী বীর কো-পাইলট প্রিথুলার মর্মান্তিক আত্নত্যাগ!

750
ছবি সংগৃহীত

যুগে যুগে প্রিথুলার মত বাংলার সন্তানেরাই বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশের নাম। বিশ্বের কোনায় কোনায়  ছড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের বীরত্বগাঁথা। আর সেই সফলতার সুবাসেই একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। কর্তব্যপরায়ণ বাংলাদেশী কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ একবার নিজের জীবনের কথা ভাবেন নি। নিজের কাজকে প্রাধান্য নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন বিমানের যাত্রীদের রক্ষা করতে।

জানা যায় বিমান দুর্ঘটনায় পড়ার পর থেকেই প্রিথুলা যাত্রীদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন। যতটা সম্ভব তিনি তার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছিলেন যাত্রীদের রক্ষা করতে। এক পর্যায়ে নেপালী নাগরিকদের জীবন রক্ষায় নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর পুরো নাম প্রিথুলা রশিদ ,কো -পাইলট (ইউএস বাংলা ফ্লাইট বি.এস ২২১) যেটি নেপালের  ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টায়  বিধ্বস্ত হয়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই বীর নারী দশজন নেপালি নাগরিকের জীবন বাঁচতে সক্ষম হয়েছিলেন যারা এখনো জীবিত আছেন।

Posted by Prithula Rashid on Saturday, February 3, 2018

প্রিথুলার ফেসবুক থেকে জানা যায় উড়তে তিনি অসম্ভব ভালোবাসেন। তাইতো এ পেশায় নামা। কিছুদিন আগেও নিজের পোষা বিড়াল নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোষ্ট করেছিলেন  প্রিথুলা। বর্তমানে কমেন্ট বক্সে যেখানে চলছে হাহাকার আর শোকের মাতম।

EDITED by Nabils ?

Posted by Prithula Rashid on Friday, October 13, 2017

প্রিথুলার আত্নত্যাগের খবর ঠাঁই পেয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যমে।  নেপালের পত্রিকা জানিয়েছে, বাংলাদেশী সন্তান প্রিথুলা নিজের জীবনের বিনিময়ে বিমানটির ১০ নেপালি যাত্রীকে বাঁচিয়েছেন।

ইউএস-বাংলার প্রথম নারী পাইলট প্রিথুলা নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ফেসবুকের শেষ স্ট্যাটাসে প্রিথুলা লিখেছিলেন- খোদা হাফেজ। ইথিওপিয়া বিমানবন্দরে গত ১৮ জানুয়ারি দেয়া ওই স্ট্যাটাসের পর তিনি আর কোনো স্ট্যাটাস লেখেননি।