‘ক্ষত’ দেখে কাঁদবে দর্শক: জায়েদ খান! StarGolpo.com

407

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক জায়েদ খান। গত ৯ই মার্চ পরিমনির প্রযোজনার নতুন ছবি ‘ক্ষত’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ছবিটি পরিচালনা করবেন শামীম আহমেদ রনী। এতে তার সহশিল্পী পরীমণি। সিনেমার পোস্টারে জায়েদ খানের লুক নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এরকম লুকে জায়েদ খানকে দেখে অনেকেই তো বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

স্বাদের চুল কাটতে হয়েছে এই সিনেমাটির জন্য। এ সম্পর্কে তিনি বলেন ‘আমি খুব যত্ন করি চুলের। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে একদিন শামীম আহমেদ রনি আমাকে একটি গল্প শোনাল। শুনে আমার মধ্যে এক ধরনের শিহরণ জাগল। এরপর দু-একদিন যাওয়ার পরই রনি কয়েকটি রেফারেন্স ছবি নিয়ে আসলো, বলল আমাকে এই স্টাইলে চুল কাটতে হবে। আমি ছবি দেখেই বললাম, এটা কীভাবে সম্ভব। তখন রনি আমাকে বলল, জায়েদ ভাই অনেক ঝড় কিংবা প্রতীক্ষার পরে আপনাকে নিয়ে এই সিনেমাটা বানাতে চাই। যখন আমার চুলগুলো কাটা শেষ হলো, তখন আমার ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল। এরপর দিন যখন লুক টেস্টের জন্য ফটোশুট করা হলো, তখন ছবি দেখে আমি নিজেকেই নিজে চিনতে পারিনি। যখন সিনেমাটির পোস্টার উন্মোচন হলো, এরপর থেকেই পরিচিত, অপরিচিত-অনেকেই ফেসবুকে কিংবা মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে প্রশংসা করছে।’

জায়েদ খান আরো জানালেন চরিত্রটির জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। চরিত্রটির জন্য কি কি করতে হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘শরীরের রংটা তামাটে বর্ণের করা, নিয়মিত জিম করা, চুলের কন্টেনিটি ঠিক রাখা এভাবেই এগিয়ে চলছে। নিয়ম করে ঢোল বাজানো শিখতে হচ্ছে, যেটা ভীষণ কষ্টের কাজ হচ্ছে আমার জন্য। আর এ ছবিটির প্রস্তুতির জন্য আমাকে চার থেকে পাঁচটি ছবির কাজ ছেড়ে দিয়েছি। পরিচালক আমাকে বলে দিয়েছেন, শুটিংয়ের সময় চিত্রনাট্য প্রম্পট করতে পারবে না সে, যার কারণে আমাকে চিত্রনাট্য মুখস্ত করতে হচ্ছে।’

শাকিব খানের সাথে মনমালিন্য সম্পর্কে বলেন ‘তিনি আমাকে ছোট ভাইয়ের মতোই দেখেন, আমিও তাকে বড় ভাইয়ের মতোই দেখি। আমার তার ভালো কাজগুলোকে সাপোর্ট করব, পাশে থাকব। সে যদি কখনো আমাদের ভালো কাজগুলোকে সাপোর্ট না করে, তখন তো তার সঙ্গে আমার দূরুত্ব তৈরি হবে। এটাই স্বাভাবিক।’

পরিশেষে যৌথ প্রযোজনার সিনেমার নতুন আইন সম্পর্কে বলেন “নতুন নীতিমালায় যেহেতু অনিয়ম করার সুযোগ নেই, নতুন প্রিভিউ কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু এরপর সে কমিটিতে একটি চিত্রনাট্যও জমা পড়েনি। সাফটা চুক্তির মধ্য দিয়ে সিনেমা আমদানি করে যে অনিয়মগুলো করা হচ্ছে, সেগুলো নিয়েই আমরা ভাবব। আমি বিষয়টিকে এভাবে বলতে চাই, তারা মানসিক চুরি করছে।