মানহানির মামলাঃ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

211
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জে প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে অটোরিকশা চালকের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে দাখিল না করায় আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

একই সঙ্গে কেন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ডিবি পুলিশের ওসির কাছে। রবিবার মামলার ধার্য্যকৃত তারিখে বাদীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহান এই নির্দেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময় একাধিকবার বর্ধিত করা হয়। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেননি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নির্ধারিত তারিখে শুনানী শেষে ১৫ কার্যদিবসের মাঝে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে বিলম্বের কারণ দর্শাতেও বলা হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।

মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ডিবির এসআই ইকবাল বাহার। পরবর্তীতে ওসি শাহ আলম নিজেই নেন তদন্তের দায়িত্ব। তিনি জানান, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এক সপ্তাহের মাঝেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর হবিগঞ্জের আদালতে ৫০ লাখ টাকার মানহানির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন ইজাজুল মিয়া নামে এক অটোরিকশা চালক।

এর আগে শাকিব ভক্তদের মোবাইল ফোনে অতিষ্ঠ হয়ে ইজাজুল গত ২৮ অক্টোবর বানিয়াচং থানায় রাজনীতি সিনেমার প্রযোজক আশফাক আহমেদ, পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

উল্লেখ্য, ‘রাজনীতি’ ছবির এক দৃশ্যে নায়িকা অপু বিশ্বাসকে যে গ্রামীনফোনের মোবাইল নাম্বারটি দেন সেটি কাকতালীয়ভাবে হবিগঞ্জর বানিয়াচং উপজলার যাত্রাপাশা গ্রামের মোবারক মিয়ার ছেলে ইজাজুল মিয়ার মোবাইল নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়। এ ঘটনাই ইজাজুল মিয়ার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রতিদিন তার কাছে অসংখ্যা কল আসতে থাকে।

অপরিচিত মেয়েদের কাছ থেকে সারাদিন ফোন আসতে থাকায় স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত সন্দেহে তার স্ত্রী মিশু আক্তার ১৬ মাস বয়সী একমাত্র শিশু কন্যা ইমুকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। ইজাজুল মিয়ার সংসারে অশান্তি শুরু হলে পরে বাধ্য হয়ে তিনি মানহানির এই মামলা দায়ের করেন।