সঞ্জয় দত্ত আবারো আইনি ঝামেলায়

115
সংগৃহীত।

বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বেশি দিন হয় নি। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন। ক্যামব্যাক ছবি ‘ভূমি’ বক্স অফিসে তেমন না চললেও সঞ্জয়ের অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। এর মধ্যেই ফের আইনের বেড়াজালে ফাঁসলেন সঞ্জয় দত্ত। নিজের নতুন ছবি ‘দ্য গুড মহারাজা’ ছবির জন্য এই বিপাকে পড়লেন এই তারকা।

সঞ্জয় দত্ত তার ছবি ‘ভূমি’ এর পরিচালক উমঙ্গ কুমারের সঙ্গেই ফের জুটি বেঁধেছিলেন। জানা গিয়েছিল, পর্দায় মহারাজা জাম সাহেব শ্রী দিগ্বিজয় সিংজি রণজিৎ সিংজির চরিত্র ফুটিয়ে তুলবেন তিনি। পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ সেনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন নওয়ানগরের এই মহারাজা। এক বছর ধরে মহারাজার জীবনকে পর্দায় তুলে ধরার কাজ করছিলেন পরিচালক উমঙ্গ।

সঞ্জয়ের প্রথম ঝলকও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। কিন্তু এরপরই ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মহারাজার উত্তরসূরিরা। মহারাজার দুই কন্যা হেরশাদ কুমারী ও হিমাংশু কুমারীর তরফ থেকে ছবির নির্মাতাদের আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছে।

সেই আইনি নোটিসে দাবি করা হয়েছে, মহারাজা জাম সাহেব শ্রী দিগ্বিজয় সিংজি রণজিৎ সিংজি একজন পাবলিক প্রোফাইল। তাঁর জীবনের কাহিনী এভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার আগে প্রযোজকদের উচিত ছিল মহারাজার উত্তরসূরিদের অনুমতি নেওয়া। কিন্তু তেমন কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। মহারাজার পরিবারের অনুমতি ছাড়া এ ছবি তৈরি করা হলে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।

তবে প্রযোজক সন্দীপ সিং নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘দিগ্বিজয় সিংজি রণজিৎ সিংজির কাহিনী লোকের মুখে মুখে ফেরে। তিনি একজন জনপ্রিয় মানুষ। এখনও পোল্যান্ডে তাঁকে সম্মান জানিয়ে ‘মহারাজা ডে’ সেলিব্রেট করা হয়। আমার মনে হয় না তাঁর জীবন পর্দায় তুলে ধরার জন্য কারও অনুমতি প্রয়োজন। তাও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ’

এই সিনেমার ক্ষেত্রে বিতর্ক নতুন নয়। এর আগে শোনা গিয়েছিল এ ছবির কাহিনীর উপর নাকি নজর ছিল আশুতোষ গোয়াড়িকরের। কিন্তু আগেই কাহিনীর স্বত্ত্ব নিয়ে নেন উমঙ্গরা। এতে নাকি একটু ক্ষুব্ধই হয়েছিলেন আশুতোষ। তবে তা এখন অতীত।

এখন প্রযোজকদের মাথা ব্যথার কারণ মহারাজার উত্তরসূরিরা। তবে প্রযোজক ও পরিচালক শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটি কত দ্রুত সমাধান করতে পারেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।