ছবির প্রমোশনে এসে তার ফাকে চুক্তিপত্রে সই করছেন কলকাতার নায়িকা শুভশ্রী! টালিগঞ্জে হালের কোনও নায়িকা এরকম করেছেন কি? চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর প্রথম ছবি ‘হানিমুন’ এর প্রচারে এসে শুভশ্রী সেটাই করলেন।
এ প্রসঙ্গে শুভশ্রী বলেন, ‘আসলে সুরিন্দর ফিল্মস তো আমার পরিবারের মতো। তাই নিরাপত্তাহীনতার জায়গা নেই। ওদের উপর সেই বিশ্বাস আছে বলেই ছবির কাজ শেষ করে এবারে কনট্র্যাক্ট সাইন করে নিলাম।’
সাহিত্যিক সমরেশ বসুর কাহিনী অবলম্বনে তৈরি এই কমেডি ছবিতে শুভশ্রীর চরিত্রের নাম জয়তী। সোহমের সঙ্গে এই নিয়ে বেশ কয়েকটা ছবি করে ফেললেন শুভশ্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিট্টু আমার অনেকদিনের বন্ধু। সেই বন্ধুত্বটা এখনও অটুট। তাই পর্দায় কেমিস্ট্রি তৈরি করাটাও অনেক সহজ হয়ে যায়’।
ছবির নাম প্রসঙ্গেই নায়িকার পছন্দের হানিমুন ডেস্টিনেশন জানতে চাইলে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন শুভশ্রী। এমনকী ভ্যালেন্টাইনস ডে’র তুলনায় তাঁর কাছে শিবরাত্রি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইদানীং রাজ্যে সরকারের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে শুভশ্রীকে। সোহম নিজে শাসক দলে রয়েছেন। রাজনীতি নিয়ে শুভশ্রী বলেন, ‘মমতাদির উদ্দেশ্য ভালো বলেই রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এখনই রাজনীতিতে পা রাখব।’ কেরিয়ারে এই মুহূর্তে ছবি নির্বাচনকে বিশেষ গুরত্ব দিচ্ছেন শুভশ্রী। বিষয়বস্তু পছন্দ না হওয়ায় মুম্বইয়ের কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবারিয়ার অফার পর্যন্ত নাকচ করে দিয়েছেন।
শুভশ্রী আরো বলেন, ‘সত্যি বলছি এই মুহূর্তে হাতে নতুন ছবি নেই। জীবনে খুশি থাকাটা জরুরি। ভালো অফার এলে তাহলেই ছবি করব।’ যারা বলছেন শুভশ্রী দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছেন তাঁদের জন্য শুভর উত্তর ‘লোকের কথায় কিছু যায় আসে না। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।’
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের পক্ষে সমর্থন থাকলেও বড় পর্দাই তাঁর প্রথম পছন্দ। প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করেন না।