ঢালিউডের নবাব খ্যাত নায়ক শাকিব খানকে নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে নানা টানাপড়েন চলছে। তারপরেও দর্শক তার ছবি দেখছেন, তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এত কিছুর পরও বাংলা চলচ্চিত্রে শাকিব খান এখনো সমালোচিত। সমালোচনার ঝড় কিছুতেই যেন থামছে না তার।
চলচ্চিত্র শিল্প এখন ‘বয়কট-বয়কট’ খেলায় মেতেছে, এই প্রসঙ্গে শাকিব খান এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি দেশের প্রধান গণমাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে বিদেশে যে কোনো দেশের ভাবমূর্তি আর মানসম্মান যুক্ত। যে কোন সমস্যা নিজেরা যদি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায় তাহলে এ নিয়ে সুযোগ সন্ধানীরা আর ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে না। এই শিল্পের মঙ্গলের জন্য ব্যান, বয়কট, বহিষ্কারের মতো ব্যবস্থাগুলো বাদ দিতে হবে। সম্মিলিতভাবে এই দুর্যোগ কাটাতে হবে। নইলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে’।
সম্প্রতি নায়ক ফারুকের বাসায় গিয়ে শাকিব খান তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। চলচ্চিত্র পরিবারের কথায় এরপর এফডিসিতে গিয়ে পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করার কথা থাকলেও তিনি যাননি। এই প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘ফারুক সাহেবের বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি এমন অপপ্রচার কারা কেন ছড়াল আমি জানি না। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও ফুটেজ তো আছে। তা দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। তারপরেও যেহেতু ফারুক সাহেব আমার একজন মুরব্বি, আমার কারণে তিনি মনে কোনো কষ্ট পান সেটি আমি চাই না। তাই সব ভুল বোঝাবুঝির অবসানের স্বার্থে ফারুক সাহেবকে নিয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য না করা সত্ত্বেও তার বাসায় গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। চলচ্চিত্র পরিবারের আমিও একজন সদস্য। আমার পরিবারকে নিয়ে আমি তো কোনো বাজে কথা বলিনি, কেন আমাকে এফডিসিতে গিয়ে মাফ চাইতে হবে’।
তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পের দুঃসময়ে এমনও দিন গেছে সাধারণ সময় তো বটেই ঈদ উত্সবেও দিনরাত কাজ করেছি। নিজের দিকে তাকানোর সময় পাইনি। আর আজ আমাকে নিয়েই যখন এমন টানা হেঁচড়া করা হয় তখন সত্যিই খুব দুঃখ হয়, কষ্টে বুকটা ভারি হয়ে ওঠে। এই অবস্থা কারও কাম্য নয়। দেখুন, আমাকে যদি দর্শক বা চলচ্চিত্রের লোকজন আর পছন্দ না করে, আমি যদি কারও চক্ষুশূলে পরিণত হই তাহলে খোলাখুলিভাবে বলে দিলেই হয়, সব ছেড়ে চলে যাব’।
তবে এই সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে শাকিব খান বলেন, ‘আমি বিবদমান পক্ষগুলোকে বলছি আপনারা সব বয়কট তুলে নিন। আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে এফডিসিতে একটি গেটটুগেদার পার্টির আয়োজন করব। সেখানে সবাই আসবে। আনন্দ করবে। আমরা সব বিভেদ ভুলে আবার একসঙ্গে কাজ করব’।
শাকিব খান সকল সমস্যার সমাধান চাইছেন। তবে সমাধানের পথে তিনি কতটুকু অগ্রসর হন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।