মাত্র দুটি সিনেমা নির্মাণ করেই দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। মনপুরা ও স্বপ্নজালে এসেছে প্রেমের গল্প। এবার নির্মাণ করতে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। ছবির নাম ‘অপারেশন জ্যাকপট’। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সমুদ্র ও নদী বন্দরগুলোতে নৌ-কমান্ডোদের একযোগে পরিচালিত সফল অভিযান অবলম্বনে তৈরি হবে সিনেমাটি।
বছরখানেক মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান ও নৌ-কমান্ডোদের দুঃসাহসী অভিযানকে স্মরণীয় করে রাখতে ছবিটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এবার জানা গেল, পাণ্ডুলিপি তৈরি ও পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, মো. নূরুল ইসলাম সুজন, এম আব্দুল লতিফ, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, রণজিৎ কুমার রায় ও মমতাজ বেগম।
অপারেশন জ্যাকপট ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়।
১০নং সেক্টরের অধীনে ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ কমান্ডো যোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতার নিদর্শন ‘অপারেশন জ্যাকপট’। এই গেরিলা অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকগুলো অস্ত্র ও রসদবাহী জাহাজ ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় সাহায্যকারী বিদেশি জাহাজ থাকায় ওই অপারেশন বাংলাদেশের যুদ্ধ ও যোদ্ধাদেরকে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাইয়ে দেয়।