অবশেষে অটোরিকশা চালক ইজাজুলের দায়ের করা মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন শাকিব খান! গত ১৩ মার্চ বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহানের আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. শাহ আলম। সেই প্রতিবেদন থেকে শাকিব খানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শাকিব অভিনীত রাজনীতি সিনেমার একটি অংশে। গত বছর অপু বিশ্বাসের সাথে শাকিবের করা এ ছবিটিই পরবর্তীতে জন্ম দেয় ভিন্ন আলোচনার ইস্যু। ছবির একটি দৃশ্য এমন যে , সেখানে নায়িকা অপু বিশ্বাসকে একটি মোবাইল নম্বর দেন শাকিব খান। সেটি ছিল একজন অটোরিকশা চালক ইজাজুলের মোবাইল নাম্বার। এটি খোলা পেয়ে প্রতিদিন শত শত শাকিব ভক্তরা ইজাজুলকে কল দিয়ে তাকে শাকিব মনে করে তার সঙ্গে কথা বলতে চায়। শুধু এই নাম্বারের জন্যই চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের মোবারক মিয়ার ছেলে ইজাজুলের। গেল বছরের ২৯ অক্টোবর ৫০ লাখ টাকার মানহানির অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
গণমাধ্যমকে শাহ আলম বলেন, ‘মামলায় ৪২০ ধারার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেন্সর বোর্ড থেকে যেহেতু সিনেমাটি অনুমতি পেয়েছে তাই নায়ককে অভিযুক্ত করার সুযোগ নেই। সিনেমাতে যারা অভিনয় করেন তারা শুটিংয়ে পরিচালকের নির্দেশ মেনে চলেন। পরিচালক যে ডায়ালগ দিতে বলেন নায়ক-নায়িকারা তাই বলেন। ডায়ালগের ব্যাপারে সাধারণত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিজস্ব মতামত নেই।’
এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী এমএ মজিদ জানান, মামলার আসামির তালিকা থেকে নায়ক শাকিব খানকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। নম্বর ইস্যুতে ইজাজুলের বাসায় এক নারী ভক্ত চলে আসায় তার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক আছে ভেবে ইজাজুলকে ছেড়ে যায় তার স্ত্রী।