বাংলাদেশের যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাসে গত সোমবার নেপালে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি বিশ্বাঙ্গনে বইয়ে দিয়েছে শোকের ছায়া। এরকম ক্ষয়ক্ষতি এর আগের কোন বিমান দুর্ঘটনায় ঘটেনি। ফ্লাইটটিতে সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অন্তত ১১ নেপালি শিক্ষার্থী ছিলেন। যারা ছুটি কাটাতে নেপাল যাচ্ছিলেন।
মর্মান্তিক এ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশী কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ১০ জন নেপালী নাগরিকের জীবন বাঁচিয়েছেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে শোকের মাতম যেন আরো দ্বিগুন হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোতে। তবে পৃথুলাই প্রথম নন।
এর আগে বিমান দুর্ঘটনায় করুন মৃত্যুর শিকার হয়েছিলেন আরো দুই নারী বৈমানিক। ১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের ফকার এফ ২৭-৬০০ মডেলের ছোট বিমানটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর পথে শাহজালাল বিমানবন্দরের খুব কাছেই বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের আভ্যন্তরীণ সে ফ্লাইটের ৪৫ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রুর সবাই নিহত হন। প্লেনটি চালাচ্ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট কানিজ ফাতেমা রোকসানা। এই দুর্ঘটনা ছিল বাংলাদেশের মাটিতে ঘটা প্রানঘাতী বিমান দুর্ঘটনা এবং এয়ারলাইন্সের ‘সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনা’র একটি।
এরপর ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার পোস্তগোলায় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান আরেক নারী প্রশিক্ষক পাইলট ফারিয়া লারা। ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল রাজশাহী বিমান বন্দরে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন প্রশিক্ষণার্থী পাইলট তামান্না রহমান। সেসময় এ ঘটনা বেশ মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছিলো। তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের মেয়ে সেলিনা হোসেন পরবর্তীতে নিজের প্রয়াত কন্যাকে নিয়ে ‘লারা’ নামে একটি সাড়াজাগানো বই লিখেন।