২০১৭ সালের ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে মামলা করেন নাসরিন সুলতানা নামে এক নারী। নাসরিনের দাবি তিনি সানির বিবাহিত স্ত্রী। এই মামলার কারনে ২২ জানুয়ারি প্রথমে গ্রেফতার ও পরে জেল হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটার আরাফাত সানির।
কিন্তু তদন্তে নাসরিনের সাথে সানির বিয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। গেল ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্তকারী কমিটি। শুক্রবার ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান গণমাধমকে বিষয়টি সম্পর্কে জানান। আনিসুর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় চূড়ান্ত এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলেন,সানি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মামলার বাদী ভুল তথ্য দিয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
তাই আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সানির সঙ্গে মামলার বাদীর যে বিবাহ ও কাবিন দেখানো হয়েছে, তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সানি ও নাসরিনের রেস্তোরাঁয় বিয়ে হয়েছে বলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া সানির মা নার্গিস সুলতানা মামলার বাদীকে মারধর করেছেন বলে যে অভিযোগ আছে, তারও কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সানি তার ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করা ও আরও ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়েছে। নিজেকে সানির স্ত্রী দাবি করে সানি ও সানির মাকে আসামি করে এরপর যৌতুক নিরোধ আইন এবং নারী নির্যাতন আইনে আরও দুটি মামলা করেন নাসরিন। পরে সানিকে অস্থায়ী জামিন দেওয়া হয়।
সানির বিরুদ্ধে করা মামলার কোন প্রমাণ না পাওয়ায় এবার ফেসে যাচ্ছেন সানির সেই কথিত স্ত্রী নাসরিন সুলতানা।