অশ্লীলতা ও যৌনতার জন্য কুসুম সিকদারকে আইনি নোটিশ

444

লাক্স তারকা কুসুম সিকদার নিজের গাওয়া ও অভিনীত গান ‘নেশা’ ইউটিউবে রিলিজ করার পর বেশ কড়া সমালোচনার শিকার হন। নিজের গন্ডি ভেঙ্গে ‘আবেদনময়ী’ হয়ে দর্শকের সামনে হাজির হওয়া গানটি প্রকাশের দশ দিন যেতে না যেতেই কুসুমের বিরুদ্ধে অশ্লীলতা ও যৌন উত্তেজক ভিডিওতে অভিনয় করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও ভিডিওটি প্রকাশ পাবার পর থেকেই দর্শক বেশ খারাপ ভাবেই নিয়েছেন। অনেকে বলেছেন কুসুম অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করেছেন এবং গানের কথাও যৌন উত্তেজনা বহন করে।

সেই ধারাবাহিকতায় ১৩ আগস্ট রোববার ই-মেইল, ডাক ও কুরিয়ারযোগে গানটির প্রকাশক ‘বঙ্গ বিডি’সহ গানটির মডেল কুসুম সিকদার ও খালেদ হোসাইন সুজনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব। সেইসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃত মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্যসচিবকেও নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, নেশা ভিডিওটি শুরুই হয় চোখে আমার তোমার নেশা, শ্বাসে আমার তোমার নেশা,  সারা দেহে তোমার নেশা, রগে রগে তোমার নেশা, তোমায় পান করে….জ্ঞান হারাই, হই মাতাল’ এমন ‘উত্তেজক’ কথার আবৃত্তি দিয়ে।

নোটিশে আরও বলা হয়, ভিডিওটিতে ৫টি শাওয়ারের দৃশ্য, ৭টি সুইমিং পুলের দৃশ্য, ১টি শয্যাদৃশ্য ও ৩টি চুম্বন দৃশ্য রয়েছে। গানের কথার সঙ্গে এসব দৃশ্যের কোনো মিল বা সংযোগ নেই। নিতান্তই গানকে দ্রুত জনপ্রিয় করার সস্তা রাস্তা হিসেবে ওই সব দৃশ্য সংযোজন করা হয়েছে। এ ধরনের অশ্লীল ভিডিও তৈরি প্রকাশনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং পর্নোগ্রাফি  আইন, ২০১২ এর ৮ ধারামতে দণ্ডনীয় অপরাধ।

হৃদয় খানের কম্পোজিশনে মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক শুভ্র খান ও শ্রাবণী। দৃশ্যধারণ করা হয়েছে রাজেন্দ্রপুরের নক্ষত্র বাড়িতে। নোটিশে বিটিআরসি চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃত মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্যসচিবকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘নেশা’ ভিডিওটি সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়।