বাস্তবের দারুন জুটি রাহুল – প্রিয়াংকা। তারা যে এখন চরম তিক্ততায় পরিণত হয়েছে তা এখন সবাই জানেন । ভালোবেসে বিয়ে করে ৫ বছর সংসার করে গত ২০১৬ সালের শুরু থেকেই একমাত্র ছেলে সহজকে নিয়ে রাহুলের থেকে আলাদা থাকছেন প্রিয়াংকা। তার দাবি , মিউচুয়াল ডিভোর্সের সময় রাহুল কথা দিয়েছিল সে প্রিয়াংকা ও সহজের দ্বায়িত্ব নিবে কিন্ত বাস্তবে তা হয় নি। বাধ্য হয়ে ছেলের খরপোশের জন্য প্রিয়াংকা মামলা করে ।
বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কে সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন, রাহুল তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এছাড়া গত বছর সহজের স্কুলে ভর্তির সময় প্রিয়াংকা টাকা চাইলে রাহুল টাকা না দিয়ে বলে তার কোনো ছেলে চাই না। এ কথার রেকর্ডও রয়েছে বলে দাবি প্রিয়াংকার। আর রাহুল এ ব্যাপারে বলেন , প্রিয়াংকা ভর্তি ফি চাইনি, স্কুলে ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা চেয়েছিল , তাই আমি দেয়নি ।
এছাড়া কিছুদিন আগে রাহুল প্রিয়াংকার বাড়িতে গিয়ে ছেলে সহজকে প্রিয়াংকার বিরুদ্ধে নানা রকম ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ টলিউডের এই নায়িকার।
প্রিয়াংকার বলেন, ‘রাহুলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার আমি। আমাকে সব সময় তার পছন্দ মতোই চলতে হতো। আমার বাইরে বেরোনো পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ইভেন আমার গায়ে গরম চাও ঢেলে দেয়া হয়েছিল।’
রাহুলের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রিয়াংকার। কিন্তু দিনে দিনে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার বাড়তে থাকায় তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। বিশ্বাসভঙ্গ, শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও খরপোষ আইনে চলতি বছরে একটি মামলা করতেও বাধ্য হন বলে দাবি প্রিয়াংকার।
প্রিয়াংকা ১.২৫ লক্ষ রুপি সন্তানের জন্য রাহুলের কাছ থেকে দাবি করেছে , এতে ক্ষুব্ধ রাহুল । তিনি এত টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। রাহুল বলেন, “যেই প্রিয়াংকা দেখেছে যে আমি ৬-৭ মাস আগে বিএমডব্লিউ গাড়ি কিনেছি, তা দেখে টাকা নিয়ে অভিযোগ করা শুরু করেছেক। এর আগে কিন্ত এসব ছিল না । আমাকে আমার ছেলের মুখ প্রিয়ংকা দেখতে দেয় নি ৭ মাস ধরে । আমার মাকে ও প্রচুর অত্যাচার করেছে , যার সাক্ষী আমার প্রতিবেশীরা । আমাকে ডিভোর্স দেয়ার মূল কারন প্রিয়াংকা আমাকে বলেছিল আমার মাকে ছেড়ে আলাদা বাসা নিতে , আমি তা করি নি। আর তাই আজ আমার এই অবস্থা “।
