তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিএফডিসি দেশের ৬৪ জেলার ৬৪টি প্রেক্ষাগৃহে বসাতে যাচ্ছে সরকারের ৬৪টি প্রদর্শনযন্ত্র। সঙ্গে অত্যাধুনিক পর্দা, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড ও প্লেয়ার মেশিন। এ তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত রোববার এফডিসিতে তাঁর কার্যালয়ে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এক সভায়।
তপন কুমার ঘোষ জানান, ‘বেশ আগেই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে প্রদর্শনযন্ত্র বসানোর উপযোগিতার তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল ৬৪ জেলার তথ্য কর্মকর্তার কাছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে ইতিমধ্যে কিছু তথ্য চলে এসেছে। আশা করছি, ঈদের পর সব হলের তথ্য পাওয়া যাবে।’ কত দিনের মধ্যে যন্ত্র স্থাপন শুরু হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হল সংস্কারের মাধ্যমে মেশিন বসানোর উপযোগী করার পর যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করব। মাস দুই লাগতে পারে।’
প্রযোজকদের কাছ থেকে ছবি মুক্তির সময় মেশিন বাবদ ভাড়া নেওয়া হবে কি না— সেই প্রসঙ্গে তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের নেতা ও জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এত দিন দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনীর জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রদর্শনযন্ত্র ব্যবহার করা হতো। এতে প্রযোজকদের গুনতে হতো বাড়তি টাকা। সিনেমার মন্দাবাজারে বাড়তি এই খরচের জন্য অসন্তোষ বিরাজ করছিল প্রযোজক ও শিল্পীদের ভেতরে। সরকারের যন্ত্র স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘এটি আমাদেরই দাবি ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটি পূরণ হচ্ছে বলে আমরা খুশি। কেননা, ১০০ হলে নতুন ছবি মুক্তি দিলে প্রযোজককে সপ্তাহে প্রায় ১৫ লাখ টাকা মেশিন ভাড়া দিতে হয়। পর্যায়ক্রমে হলগুলোতে সরকারি মেশিন বসানোর পর বিনা মূল্যে সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ দিলে আমাদের চলচ্চিত্র বেঁচে যাবে।’
রোববারের সভায় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক অভিনেতা ফারুক, সদস্যসচিব ও পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব রশীদ, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু প্রমুখ।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বাচাতে সরকারের এ উদ্যগ সবার কাছেই বেশ প্রশংসিত হয়েছে।