সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে শাকিব খান সবাইকে নিয়ে নতুন এক বা একাধিক সংগঠনের জন্ম দিতে চান। ‘রংবাজ’-এর পর ‘আমি নেতা হবো’ ছবির সেটে দুদফা কাজ করতে বাধা দেওয়া ও তার সাথে অভিনয় করায় শিল্পীদের নানাভাবে হয়রানি করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তাই এ উদ্যোগ। আর এ কিং খানের এ উদ্যোগের ব্যাপারে গতকাল শক্তিমান অভিনেতা ভিলেন পারভেজ গাঙ্গুয়া এক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি নতুন করে কোন কিছু করে, সেখানে আমরা অবশ্যই যাবো, হ্যা আমরা তা মাথা পেতে নিবো, কিন্তু ঐ সব মাথা মোটা’র দল আমাদের অস্থিত্ব নিয়ে খেলা করলে তা কোনদিনও মেনে নিবো না। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের রক্ত, আমাদের ঘামে ঝড়া এই শিল্পী সমিতি। এই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে ফাজলামো করলে আমরা এক বিন্দু ছাড় দিবো না। আমরা বহুদিন ধরেই দেখছি এই শাকিব খান আমাদের জ্বালিয়ে শেষ করে দিচ্ছে। এক শাকিব খানের কাছে আমরা কেন এভাবে বন্দি হয়ে থাকবো’।
শাকিব খান কিভাবে আজকের জায়গায় এলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শাকিব কিন্তু একসময় মুনমুন ময়ূরীর ঘাড়ে ভর করে ৩ নাম্বার নায়ক হয়ে কাজ শুরু করে। পড়ে আলেক জেন্ডার বো এর সাথে সাইড হিরো হয়েও কাজ করে। এরপর মান্না মারা যাওয়ার পর সে একক ভাবে মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নিতো কিস্তিতে। প্রথমে শুরু করত ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে এর পর শুটিং এর মাঝখানে গিয়ে তার থেকে নেওয়া হত ৩০ লক্ষ টাকা ও তার চেয়েও আরো বেশি। আর যদি একবার ওই পরিচাকল আর প্রযোজককে বিদেশে নিয়ে যেতে পারতো! এই শাকিব খান যখন ৩০ লক্ষ টাকা নেওয়া শুরু করলো ঠিক তখনই পরিচালকরাও কমাতে শুরু করে অন্যান্য অভিনেতা গুলো। শাকিব খানকে যদি একা ৩০ লক্ষ টাকা দেয় তাহলে অবশ্যই সিনেমাকে টাইট করে বানাতে হবে। আর ঠিক তখনই আমাদের অন্যান্য শিল্পীরা হারিয়ে যেতে শুরু করলো। আর হলের কথা তো পরে। শুধু এটাতেই শেষ নয়। সে ওত পেতে ছিলো কাকরাইল পাড়াতেও ওই সব বুকিং এজেন্টদের নিয়ে। এরপর আর কি বিদেশিদের ফ্রী চা খাওয়ানোর মত। যে চা আমরা এখন কিনে খাই। এভাবে চলার চেয়ে শিল্পী সমিতি থেকে তাকে একেবারে নিষিদ্ধই করা হোক আজীবনের মত। ওর মত নোংরা মন মানষিকতার লোক আমাদের চলচ্চিত্র কোন দরকার নাই বলে আমি মনে করি’।
শাকিব খানকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, ‘একটা কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশে ৫০ টির বেশি হিট সিনেমা’র পরিচালক এফ.আই মানিক ভাই। এই শাকিব খানের জন্য আজ সে রাস্তায় রাস্তায় পাগলের মত ঘুরে বেরায়। তাকে নিঃশেষ করে দিয়েছে এই সেই শাকিব খান। এ রকম আরো অনেক অনেক মানুষের কাছে থেকে টাকা নিয়ে সিনেমার করার কথা বলে তার আর কো হদিসই মিলানো যায় নাই। সে কিন্তু এই প্রকৃতির! নতুন সিনেমা নেওয়ার জন্য আপনার অফিসে গিয়ে আপনাদের পা ধরে বসে থাকবে, আর একবার যদি সে সাইনিং মানি পেয়ে যায়। এরপরই শুরু হয়ে যায় সেই পরিচালকের ভোগান্তি কাকে বলে। অনেক করেছে আর এক বিন্দু ছাড়ও নয়। এখন সময় আছে ভাল হবার। শিল্পী সমিতি আমাদের বেচেঁ থাকার অস্থিত্ব এটা নিয়ে মাতামাতি করবেন না। আর তা না হলে এই জ্বালা কিন্তু খুব ভয়াবহ হবে’।
শক্তিমান অভিনেতা ভিলেন পারভেজ গাঙ্গুয়ার এমন সব কথার জবাবে এখনো কিছু বলেন নি শাকিব খান।