শাকিব খানের মুভি হল কাঁপাবে এটা যেমন স্বাভাবিক ঠিক তেমনি তার ছবি নিয়ে আইনগত জটিলতা তৈরী হবে এ ব্যাপারটাও যেন এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে । এবারের ঈদে কলকাতায় ‘ভাইজান এলো রে’ মুক্তি পেলেও, নানা আইনের ফাঁদে পরে বাংলাদেশে ঈদে মুক্তি পায়নি ছবিটা। সবশেষে সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিলেছে।
জানা গেছে, গত ২৮ মে মন্ত্রণালয়ের সাফটা চুক্তিতে চলচ্চিত্র বিনিময় বিষয়ক বিভাগে ‘ভাইজান এলো রে’ জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে গত বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছবিটি বাংলাদেশে রিলিজ করার অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশে এন ইউ ট্রেডার্স ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি আমদানি করছে । ‘চালবাজ’ও এ প্রতিষ্ঠানই আমদানি করেছিল । এন ইউ ট্রেডার্সের কর্ণধার ও প্রযোজক কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়ার বলেন , ‘মন্ত্রণালয় এর চিঠি হাতে পাওয়ার পরই সেন্সর ছাড়পত্রের জন্য জমা দেব। এখন যেহেতু দেশের মানুষ বিশ্বকাপ নিয়ে মেতে আছে, তাই এর মধ্যে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। বিশ্বকাপের পরপরই দেশের দর্শক যাতে ‘ভাইজান এলো রে’ আনন্দে মেতে উঠতে পারেন, সেই চেষ্টাটাই থাকবে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়েই ‘ভাইজান এলো রে’ বাংলাদেশের সিনেমা হলে প্রদর্শিত হবে। সেন্সর ছাড়পত্র মিললেই মুক্তি তারিখ জানাবেন তিনি।
অর্থাৎ, দর্শকদের আগ্রহের তুঙ্গে থাকা ভাইজান এলো রে অবশেষে বাংলাদেশের হলে দেখা যাবে বিশ্বকাপের পর ।
উল্লেখ্য , ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিতে অভিনয় করেছেন ঢালিউডের শীর্ষনায়ক শাকিব খান, শাহেদ আলী, দীপা খন্দকার, মনিরা মিঠু। আরো আছেন কলকাতার জনপ্রিয় দুই নায়িকা শ্রাবন্তী, পায়েল, রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, বিশ্বনাথ প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে কলকাতার এসকে মুভিজ, পরিচালক জয়দীপ মুখার্জী। ঈদ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের ৭৮ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘ভাইজান এলো রে’। জানা যায়, ছবির মুক্তির উপলক্ষে এর পোস্টারে ছেয়ে গেছে কলকাতার অলিগলি।