১৯ বছরের পুরনো কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা ও পাচার মামলায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জোধপুর আদালত। এছাড়া ২৮ জন বিসনই গ্রামবাসীকে স্বাক্ষী করে ‘ব্ল্যাকব্যাক চোরাশিকার কেস’ এ সালমান খানকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সালমান চাইলে এখনই জামিনের জন্য আপিল করতে পারবেন তবে জোধপুর আদালতে তিনি আপিল করতে পারবেন না তবে তার উকিলরা এখন রাজস্থান হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করবেন। এদিকে সালমান খানের জেলে যাওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খত্রী তাকে অভ্যাসগত অপরাধী বলে আখ্যা দেন।
একই মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাইফ আলী খান, সোনালী বেন্দ্রে, নীলম আর টাবু। নির্দোষ জানিয়ে আদালত এ মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি প্রদান করেন।
এর আগে, ‘কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় মিথ্যা অভিযোগে সালমানকে ফাঁসানো হয়েছে’ বলে গত ৪ জানুয়ারি জোধপুর আদালতে দাবি করেন সালমান খানের আইনজীবী। সাক্ষীরা মিথ্যে বয়ান দিয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালে ১৯৯৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে সালমান খান ২টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন বলে অভিযোগ। বন্যপ্রাণী রক্ষা আইনের ৯/৫১ ধারায় এই বলিউড অভিনেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। খাসাসপ্রাপ্ত পঞ্চম ব্যক্তির নাম দুশান্ত সিং, তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা।