গতকাল নেপালে বাংলাদেশী বিমান বিধ্বস্ত হবার দুর্ঘটনায় আক্রান্ত অভিনেতা অভিনেতা নাঈমের আত্নীয়। গতকালের নেপালের কাঠমান্ডুর বিমান দুর্ঘটনায় হারিয়ে গেল কতগুলো জীবন, কতগুলো জীবনের গল্প। ওই বিমানের এমনই এক দুর্ভাগা দম্পতি অভিনেতা নাঈমের কাজিন শশী ও শাওন। এই দম্পতি দুজনই অভিনেতা নাঈমের কাজিন ছিলেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা নিজেই। দুর্ঘটনার সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই নাঈম ফেসবুকে দম্পতির ছবি সহ স্ট্যাটাস দেন ‘ সবাই প্লিজ দোয়া করুন , রেজওয়ান এবং শশী আমার কাজিন তাদের বিবাহ বার্ষিকী উৎযাপন করতে নেপাল গিয়েছিলেন”
আগামী শনিবার ১৭ ই মার্চ তাদের বিবাহবার্ষিকী। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ইউএস-বাংলা বিমানে চেপে নেপাল যাচ্ছিলেন তাহিরা তানভিন শশী ও ডা. রেজায়ানুল হক শাওন। কিন্তু মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নিল শশী-শাওন জুটির বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের সেই স্বপ্ন। দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তাহিরা তানভিন শশীর। গুরুতর আহত হয়ে স্বামী শাওন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শশীর বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকায়। সদ্য এলএলবি পাস করা শশী বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। বিবাহবার্ষিকী পালন করতেই স্বামী ডা. রেজায়ানুল হক শাওনের সঙ্গে নেপালে যাচ্ছিলেন তিনি। শশীর পারিবারিক সূত্র জানায়, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. রেজা হাসানের মেয়ে শশীর সঙ্গে ডা. শাওনের বিয়ে হয় বছর সাতেক আগে। তবে তাদের কোনো সন্তানাদি নেই। রেজায়ানুল হক শাওন রংপুর মেডিকেল কলেজে কর্মরত।
Posted by Fs Nayeem on Monday, March 12, 2018
বিমান ছাড়ার আগ মুহূর্তে শশী তার ফেসবুক আইডিতে ছবি আপলোড করে লিখেছেন,
Nd here d journey begains…..
# Advance_clelebration_of_anniversary
# special_march
#mmntzzz_wid_him.
বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনেই শশীর মা-বাবা ঢাকায় পৌঁছেছেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সী শশীর অকাল মৃত্যুতে স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শশীর স্বামী শাওনের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাঁটুরিয়া উপজেলায় গোপালপুর এলাকায়। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক। শাওনের মামা অ্যাডভোকেট মো. আসাদ জানান, শাওন নেপালের একটি হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।
