কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে নায়করাজ রাজ্জাকে এক নজর দেখতে। দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে শহীদ মিনারে রাজ্জাকের মরদেহ আনা হয়। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ শহীদ মিনারে ২ ঘণ্টা রাখা হবে।
সকালে বৃষ্টি হওয়াতে শোক মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করতে একটু দেরি হলেও সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ভিড় করতে থাকে। সবার মুখে একই প্রশ্ন কখন আসবে মরদেহ। কখন তারা শেষবারের মতো প্রিয় নায়কের মুখদর্শন করতে পারবেন। শেষবারের মত শ্রদ্ধা জানিয়ে চিরবিদায় দিতে পারবেন।
নায়করাজ রাজ্জাককে চিরবিদায় ও শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মঞ্চের চারপাশে অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরাও পেশাগত কাজে অনেক আগেই এখানে অবস্থান করছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল শেষ শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
আজ বেলা ১১ টার দিকে নায়করাজ রাজ্জাকের মৃতদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমকক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল এফডিসিতে। আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে সম্পন্ন হয়েছে মরহুমের জানাজা।
নায়ক রাজের মৃতদেহের সঙ্গে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে গিয়েছেন- শাকিব খান, বুবলি, আলমগীর, সায়মন ও বাপ্পিসহ ঢাকায় থাকা নায়করাজের সন্তানদ্বয়। এফডিসিতে তার জানাজায় শরিক হয়েছিলেন নায়করাজের সহশিল্পী ও সহকর্মীসহ সাধারণ মানুষজন। এ মুহূর্তে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে। অতঃপর আজ বাদ আছর গুলশানের আজাদ মসজিদে পুনরায় তার জানাজা সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতারা জানান, নায়করাজ রাজ্জাকের প্রতি সর্বস্তরের জনগণ যেন সুষ্ঠুভাবে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সেদিকে তারা খেয়াল রাখবেন। লাশ আনার পর হুড়োহুড়ি না করে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে সবাইকে শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান।
উল্ল্যেখ, কিংবদন্তি ও মহানায়ক নায়করাজ রাজ্জাক গতকাল ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার পরপর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।