মুভি রেটিং ২.৫/৫
কেমন কাটল হ্যারি ও সেজালের সঙ্গে আড়াই ঘন্টা?
ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত এ ছবিতে দেখা যায়, একদিকে জীবনের উপর বিরক্ত ট্যুর গাইড হ্যারি (শাহরুখ) আর অন্যদিকে হাস্যউজ্জ্বল গুজরাটি তরুণী সেজাল। এক মাসের ইউরোপ ট্যুরের পর দেশের ফেরার জন্যে এয়ারপোর্টে এসে সেজাল (অনুষ্কা) আবিষ্কার করেন যে তিনি তাঁর এনগেজমেন্টের আংটিই হারিয়ে ফেলেছেন! কিন্তু সেই আংটি ছাড়া তিনি দেশে ফিরতে নারাজ। অতএব ফের ট্যুর গাইড হ্যারিকে (শাহরুখ খান) সঙ্গী করে তিনি বেরিয়ে পড়েন আংটির খোঁজে। এরপর সেই গৎবাঁধা হাতে-হাত, চোখে-চোখ টাইপ কাহিনী । অন্যের বাগদত্তা হয়ে যান ট্যুর গাইডের ।
ইমতিয়াজ আলির আগের ছবিগুলি যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে হ্যারি ও সেজলের গল্প আউট অফ দ্য বক্স মনে হবে না। এ যেন নতুন মোড়কে পুরানো জিনিস।এখানে পরিচালক রমণকে গুরুত্ব দেবেন, না ভ্রমণকে— সেটা যে ঠিক কোন রহস্যে গুলিয়ে ফেললেন! ফলে অত ভাল লোকেশন থাকা সত্ত্বেও সিনেমাটোগ্রাফার কে ইউ মোহাননের বেশিরভাগ শট ব্যস্ত শহরের রাস্তায়, কফি শপে কিংবা হোটেলের ঘরের ভিতর! দেখে মনে হবে, এর জন্য ইউরোপ? মুম্বই নিজেও তো লোকেশন হিসেবে মন্দ নয়! তবে ওই…‘গ্র্যান্ডিওস’ না হলে কি আর নিজেকে বলিউড ফিল্মমেকার মনে হয় কারও!
গানগুলো ছিল বেশ ভাল । কিন্তু সমস্যা হয়ে গিয়েছিল গানের টাইমিং। ইন্টারভ্যালের আগেই ব্যাক টু ব্যাক দুটো গান, বার ইন্টারভ্যালের ঠিক পরেই আরো একটা। কিছুটা বিরক্তিকর তো বটেই।
সিনেমাটোগ্রাফির প্রশংসা করতেই হবে । প্রশংসা করতে হবে অনুষ্কার অভিনয়েরও । কিং অফ রোম্যান্স হিসেবে শাহরুখকে বহুবার, নানাভাবে ব্যবহার করে ফেলেছে বলিউড। কিন্তুব্যবসাসফল নির্মাতা ইমতিয়াজ আলী কিং খানের প্রতিভাকে ব্যবহার করেত পারেননি। ইমোশনের থেকে ডায়লগের ব্যবহার ছিল বেশি। স্টোরিটেলর ইমতিয়াজ আলীর এ মুভির গপ্লের কাহিনী যেন ইন্টারভ্যালের আগেই অনুমান করা যায়।
আপনাদের মতামত জানিয়ে দিন কমেন্ট বক্সে।