সাইফকে হামলাকারী চিহ্নিত, ফিঙ্গারপ্রিন্টে মিল পেয়েছে পুলিশ

2

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় নিত্য নতুন তথ্য সামনে আসছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, আটক শরিফুল ইসলাম শেহজাদই সাইফের ওপর হামলা করেছে- এমনটাই জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। তার ফিঙ্গারপ্রিন্টও মিলে গেছে হামলাকারীর ফিঙ্গারপ্রিন্টের সঙ্গে।
এর আগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে আটক শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনও মিল নেই।

তবে এবার ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করল মুম্বাই পুলিশ। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের হাতের আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলে গেল ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপ। যদিও এখনও ফাইনাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ, তবে শরিফুলই হামলাকারী, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

বুধবার আর্থার রোড জেলে সাইফ হামলার অভিযুক্ত শরিফুলের শনাক্তকরণ প্যারেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সাইফ-কারিনার বাসার পরিচারিকা, গৃহকর্মী এবং সাইফপুত্র জেহ’র আয়া কারাগারে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। শনাক্তকরণ প্যারেডের সময় প্রায় একই চেহারার অন্য কয়েদিদের সঙ্গে শরিফুলকে দাঁড় করানো হয়েছিল। সাইফের বাসার পরিচারিকা ও গৃহকর্মীরা অন্য কয়েদিদের মধ্য থেকে শরিফুলকে চিনতে পেরেছেন। আর তারা নিশ্চিত করেছেন যে ১৬ জানুয়ারি রাতে শরিফুলই সাইফের ওপর হামলা করেছিলেন।

এদিকে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেতা সাইফ আলি খানের উপর হামলায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের আঙুলের ছাপ খানের বাসভবনে পাওয়া আঙুলের ছাপের সাথে মিলে গেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে তারা সাইফের বাড়ি থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়েছে। কিছু রিপোর্ট এসেছে, অন্যগুলি এখনও আসার বাকি।

গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সাইফ আলী খানের বাসভবনে ঢুকে তার ওপর হামলা করা হয়।

অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে ৬ বার আঘাত করা হয়। ওইদিন নিরাপত্তারক্ষী ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে অভিযুক্ত ১১তলায় উঠে যান এবং ফায়ার এক্সিটের ডাক্ট শ্যাফট দিয়ে অভিনেতার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। সাইফের ছেলেদের ঘরের কাছে সোজা চলে গিয়ে বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন হামলাকারী। গৃহকর্মী তাকে দেখে ফেলে চিৎকার করলে সাইফ এগিয়ে আসেন এবং তার সঙ্গে হাতাহাতি হয় হামলাকারীর। একপর্যায়ে সাইফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সেই হামলাকারী। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে যান সাইফ। হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল ছাড়েন সাইফ। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।