অবশেষে গতকাল মুক্তি পেল দেবের আলোচিত ছবি ‘ককপিট’। মুক্তির আগেই সিনেমাটির প্রযোজক ও অভিনেতা দেব সিনেমাটি নির্মাণের গল্প বলে আর প্রচারণায় নতুনত্ব দেখিয়ে এই সিনেমাটির প্রতি দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
সত্য ঘটনার উপর বানানো এ সিনেমাতে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বিপদে পড়া যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে জীবন বাজি রাখা এক পাইলট, বিমানের যাত্রীদের জীবনের টানা পোড়েন , আর ক্যাপ্টেন দেবেন্দুর নিজের জীবনের ভালবাসা ও ঘৃনার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ‘ককপিট’।
‘ককপিট’ এর চমৎকার দিক গুলো হল-
১.অসাধারন অভিনয়ের পাশাপাশি অভিব্যাক্তি আর শারিরিক ভাষায় দেব মাত করে দিয়েছেন। হ্যাট, সানগ্লাস-সহ পাইলটের পুরোদস্তুর পোশাকে নায়ককে দেখে দর্শকদের ছিল সরব উল্লাস। সুতরাং দেব তার তারকা গৌরব পুরোপুরি বজায় রাখতে পেরেছে।
২.এ সিনেমার বিরাট সারপ্রাইজ যেন ছিল রুক্মিনীর অভিনয়। এতটাই বলো ছিল যে রুক্মিনীর পাশে কোয়েল যেন দাঁড়াতেই পারেনি।
৩.সংলাপের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে পরিপূর্ন সিনেম্যাটিক ছোঁয়া। রুদ্ধশ্বাস দৃশ্যে অনিশ্চয়তার পরিবেশ আনার জন্য ব্যবহৃত আবহ-সুর মানানসই ছিল।
৪.এই সিনেমার গানগুলো আসলেই প্রশংসার দাবিদার। যা ছবির সম্পুর্ণ সময় দর্শককে ধরে রাখবে আর গানের টাইমিংও ছিল ভালো।
৫. ‘ককপিট’ এর চলচ্চিত্রগ্রহন শিল্পও ছিল প্রশংসনীয়।
আর রেটিং নামিয়ে দেওয়া দিকগুলোর মধ্যে ছিল-
১.দেবের সংলাপে উচ্চারণ কিছু ভুল পাওয়া যায়। দেবের বাংলা, ইংরেজি উচ্চারণে সেই সমস্যা প্রকট পাওয়া যায়।
২.‘ককপিট’-এর নির্মাণের সঙ্গে কেউ রবি চোপড়ার ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’-এর সামঞ্জস্য পেতে পারেন। ১৯৮০-র সেই ছবিতে ছিল ট্রেন, এখানে প্লেন।
৩.আকাশপথে মেঘের মধ্যে দিয়ে বিমান ওড়ার দৃশ্য দেখাতে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের প্রতি আর একটু মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন ছিল আর পুরো সিনেমাটি বর্ণনা করার ক্ষেত্রেও দু’-একটা ছোটখাটো ত্রূটি চোখে পড়ে।
এসব কিছু নেতিবাচক দিক থাকার পরও এই সিনেমাকে কিন্তু বলা যায় এই পুজোর সবচেয়ে বড় ধামাকা। নাচ-গানে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া বাঙালিরা এই সিনেমায় এক নতুন ফ্লেভার পাবে তা নিশ্চিত।
আমরা এই ছবির রেটিং দিয়েছি ৫ এ ৪।